Coronavirus Lockdown

আমেরিকায় আটকে পড়া দু’শোরও বেশি কর্মীকে ফিরিয়ে আনল ইনফোসিস

সোমবার ভোরে ইনফোসিসের ওই কর্মী-সহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিমানটি বেঙ্গালুরুতে নামে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২০ ১৬:৫৯
Share:

বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দরে ইনফোসিসের কর্মীরা। ছবি: টুইটার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে গিয়ে কারও ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। অনেকে আবার সে দেশে আটকে পড়েছিলেন লকডাউনের জেরে। নিজেদের সংস্থার এমন ২০০ জনেরও বেশি কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যের সাহায্যে এগিয়ে এল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস। একটি বিশেষ চার্টার্ড বিমানে করে তাঁদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনলেন ওই সংস্থার কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সোমবার ভোরে ইনফোসিসের ওই কর্মী-সহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিমানটি বেঙ্গালুরুতে নামে। লিঙ্কডইন নামে একটি সোশ্যাল সাইটে এ খবর জানিয়েছেন ইনফোসিসের এক সিনিয়র এগ্জিকিউটিভ সঞ্জীব বোড়ে। একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন,”ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইসফোসিসের বেশ কিছু কর্মচারী আমেরিকায় আটকে পড়েছিলেন। অতিমারির জন্য সমস্ত আন্তজার্তিক উড়ান বন্ধ। ফলে আমাদর সংস্থার তরফ থেকে প্রথম একটি (বিশেষ) চার্টাড ফ্লাইট ভাড়া করে সেই কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারকে আমেরিকা থেকে ভারতে ফিরিয়ে এনেছে। এই পোস্ট লেখার সময় তাঁরা বেঙ্গালুরুতে সুরক্ষিত ভাবে নেমেছেন। এর ফলে গত কয়েক সপ্তাহের অনিশ্চিত পরিস্থিতির অবসান ঘটল।”

গোটা বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকানি। সংস্থার কর্মীদের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তাঁর উচ্ছ্বসিত মন্তব্য, “ইনফোসিস: সহানুভূতিশীল পুঁজিবাদ কর্মরত!” নিলেকানির এই মন্তব্য নিজের টুইটার হ্যান্ডলে শেয়ারও করেছেন সংস্থার এক কর্মী। সেই সঙ্গে সংস্থার দলগত প্রচেষ্টার ফলেই যে কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে, তা-ও উল্লেখ করেছেন তিনি।

Advertisement


আরও পড়ুন: আগাম সতর্কতা, চিনকে টক্কর দিতে লাদাখে মোতায়েন বায়ুসেনার অ্যাপাচে

আরও পড়ুন: অনলাইন ক্লাস করা বিদেশি পড়ুয়াদের আমেরিকা ছাড়তে হবে, জানাল ট্রাম্প সরকার​

লকডাউনের ফলে আগেই সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আনলক পর্যায়ের দ্বিতীয় পর্বে তার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ জুলাই করা হয়েছে। কেবলমাত্র পণ্যবাহী বিমান ছাড়া সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ। তা ছাড়া, দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত বিমানই চলাচল করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, গত ৬ মে থেকে ‘বন্দে ভারত মিশন’-এর অঙ্গ হিসাবে এয়ার ইন্ডিয়া এবং অন্যান্য ঘরোয়া এয়ারলাইন্স অনির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুযায়ী বিদেশে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনার কাজ করছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement