রাজীব বজাজ
শিল্পমহলে ‘ভয়’-এর পরিবেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সামনেই মুখ খুলেছিলেন রাহুল বজাজ। এ বার রাহুল গাঁধীর সঙ্গে আলাপচারিতায় তাঁর ছেলে রাজীব বজাজ তুলে আনলেন সেই ‘ভয়’-এর কথাই।
আজ রাহুলের সঙ্গে আলাপচারিতায় বজাজ অটো-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব বলেন, ‘‘আমি এক জনকে বলছিলাম যে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে আলাপচারিতা হওয়ার কথা আছে। তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়াই ছিল, এটা করতে যেও না। সমস্যায় পড়বে।’’ রাহুল তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘‘এই ভয়ের আবহ কি দেশে ব্যবসায়ে ধাক্কা দিতে পারে?’’ বজাজ উত্তর দেন, ‘‘উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাস না থাকলে কেউই লগ্নি করবেন না। দু’একটা বিষয় যে শোধরানোর দরকার রয়েছে তাতে সন্দেহ নেই।’’
আজ রাহুলের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাজীব বজাজ সরাসরিই বলেছেন, ‘‘সংক্রমণের রেখচিত্র নেমে আসার বদলে আর্থিক বৃদ্ধির রেখচিত্র নেমে এসেছে। আবার লকডাউনে ছিদ্র থাকার ফলে ভাইরাস লকডাউন ওঠার পরেই ছোবল মারার অপেক্ষায় রয়েছে।’’ তাঁর মতে, ‘দানবীয়’ লকডাউন জারি করে করোনাভাইরাস ধ্বংস হওয়ার বদলে অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে।
অন্য দিকে শিল্পপতি গৌতম আদানির মতে, নরেন্দ্র মোদী সরকার ঠিক সময়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত না নিলে অকল্পনীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হত। আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সংস্থার বার্ষিক রিপোর্টে বলেছেন, ‘‘একেবারে ঠিক ও ভুল ভাবনা বলে কিছু হয় না। কোভিডের মতো সঙ্কটে এমন সরকার দরকার, যারা সেই সময়ে থাকা তথ্য অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। এ জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানানো উচিত।’’
দেশের দুই প্রথম সারির শিল্পপতির মুখে একেবারে বিপরীত কথা শুনে আজ রাজনৈতিক শিবিরে প্রশ্ন উঠেছে, এখন কি শিল্পপতিদের মধ্যেও আমরা-ওরা বিভাজনের ছায়া দীর্ঘ হচ্ছে? কারণ গৌতম আদানি বরাবরই প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অন্য দিকে রাহুল ও রাজীব বজাজ বেশ কিছু দিন ধরেই সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনায় সরব।
রাজীব বজাজের মতে, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ও বাজারে চাহিদা তৈরি করতে ভারতকে আমেরিকা-জাপানের মতো মানুষের হাতে টাকা তুলে দিতে হবে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ‘স্টিমুলাস’ না হলেও শিল্পকে সাহায্য করতে হবে।