এ ভাবেই লকডাউন ভঙ্গকারীদের পাকড়াও করা হচ্ছে। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও লকডাউন ভেঙে বাইরে বেরনোর প্রবণতা কমার নাম নেই। তার জন্য রাস্তায় নেমে পাহারা দিতে হচ্ছে পুলিশকে। চলছে ধরপাকড়ও। কিন্তু তা করতে গিয়ে অনেক সময়ই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না। কারণ নিয়ম লঙ্ঘনকারী হাত ছেড়ে পালাতে গেলে তাঁকে ধরে-বেঁধে আনতে হচ্ছে। তার জন্য এ বার বিশেষ উপায় বার করল চণ্ডীগঢ় পুলিশ। যার মাধ্যমে লকডাউনের নিয়ম লঙ্ঘনকারীকে ধরাও যাবে, আবার তাঁর সংস্পর্শেও আসতে হবে না পুলিশকে।
চণ্ডীগঢ় পুলিশের ভিআইপি নিরাপত্তা দফতর এই বিশেষ যন্ত্র তৈরি করেছে। শনিবার টুইটারে সেটি সামনে এনেছেন সেখানকার ডিজি সঞ্জয় বানিওয়াল। তাতে দেখা গিয়েছে একহাতে লম্বা রডের মতো একটি যন্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক পুলিশকর্মী। অন্য হাত দিয়ে রডের উপরে লাগানো একটি হ্যান্ডল ধরে টান দিলে রডটির দৈর্ঘ্য বেড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রডের মুখে বসানো চিমটের মতো অংশটি খুলে যাচ্ছে। সামনে দাঁড়ানো একটি ব্যক্তির কোমরের কাছে সেটি নিয়ে গিয়ে ফের হ্যান্ডল ধরে ডান মারলেই চিমটের মুখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এতে চিমটের ভিতরে আটকে যাচ্ছেন ওই ব্যক্তি। কোমরে চিমটেটি আঁটোসাটো হয়ে আটকে যাওয়ায়, তা ছেড়ে পালাতেও পারছন না তিনি। সেই অবস্থায় তাঁকে ঠেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গাড়িতে তুলছে পুলিশ। তার পর ফের রডের হ্যান্ডল ধরে টান মেরে কোমর থেকে চিমটে খুলে দেওয়া হচ্ছে। ওই যন্ত্র হাতে নিয়েই চণ্ডীগঢ় পুলিশ এখন লকডাউন পর্যবেক্ষণ করতে রাস্তায় নেমেছে।
পুলিশ যন্ত্রটি পরীক্ষা করছে।
আরও পড়ুন: চিন থেকে বিশেষ বিমানে কলকাতায় এল সুরক্ষা সামগ্রী, মাস্ক তৈরির সরঞ্জাম
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু
করোনাভাইরাসের প্রকোপ সামাল দিতে গত ২৪ মার্চ দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। শুরুতে ১৪ এপ্রিল তা উঠে যাওয়ার কথা থাকলেও, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নির্দেশ দেওয়া হয়, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরনোর। তা সত্ত্বেও লকডাউনে ভেঙে বেরনোর প্রবণতা এদিক ওদিক চোখে পড়ছেই।