Yogi Adityanath

অখিলেশ, যোগীর করোনা, প্রশ্নে ‘গোমূত্র দাওয়াই’

শরীরে একাধিক উপসর্গ নিয়ে কোয়রান্টিনে যোগী। নিজেই টুইট  করে টেস্টের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২১ ০৬:১৯
Share:

ফাইল চিত্র।

গতকাল পর্যন্ত করোনা মোকাবিলা নিয়ে যুযুধান ছিলেন উত্তরপ্রদেশের দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ— মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদব। কাল অখিলেশের টুইট, করোনা মোকাবিলা নিয়ে রাজ্যে ধাপ্পা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে বেড নেই, প্রতিষেধকের ভাঁড়ারে টান। যোগীর দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বিরোধীরা অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। আজ এই দুই নেতাই করোনায় আক্রান্ত!

Advertisement

শরীরে একাধিক উপসর্গ নিয়ে কোয়রান্টিনে যোগী। নিজেই টুইট করে টেস্টের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার কথা জানিয়েছেন। অখিলেশও জানান, ‘‘আমার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ। নিজেকে সবার থেকে আলাদা রাখছি, তবে বাড়িতে রয়েছি। গত কয়েক দিন আমার সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকে পরীক্ষা করিয়ে নিন।’’

ভারতে যখন করোনা প্রথম কামড় বসায়, সেই সময়ে হিন্দুত্ববাদী নেতাদের কেউ-কেউ তার মোকাবিলায় গোমূত্রের কথা বলেছিলেন। বিরোধী শিবিরের কটাক্ষ, তাতে যে কাজ হয়নি, তা অমিত শাহ, জে পি নড্ডা, যোগী আদিত্যনাথদের করোনার শিকার হওয়ায় স্পষ্ট।

Advertisement

অথচ গোমূত্র বা গোবর নিয়ে গৈরিক দলের নেতাদের দুর্বলতা অনেকের জানা বলে মনে করে রাজনৈতিক শিবির। বেশ কয়েক জন বিজেপি নেতা এই দাবিও প্রকাশ্যে করেন যে, গোমূত্র খেলে করোনা হবে না। এমন কথা হুবহু বলেননি করোনায় আক্রান্ত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু গোমূত্র ও গোবরকে কেন্দ্র করে শিল্প গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নিয়েছে তাঁর সরকার। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন যোগী। উত্তরপ্রদেশ সরকারের পরিকল্পনা, সরকারি ভাবে এ বার বিক্রি করা হবে গোমূত্র ও গোবর। যোগীর দাবি, গোমূত্র ও গোবর বিক্রি কর্মসংস্থানের সোনালি সুযোগ।

গোমূত্রকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের ‘সোনালি’ পরিকল্পনাটি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর করোনা আক্রান্ত হওয়ায় কিছুটা ধাক্কা খাবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। গোমূত্র করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক, এই বিশ্বাসে গতবছর উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো এলাকায় গোমূত্র পানের কর্মসূচি আয়োজন করে বিজেপি। সেই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। খোদ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেও গোমূত্র পান করেছেন। বিজেপির সাধ্বী প্রজ্ঞা এবং অসমের বিজেপি নেত্রী সুমন হরিপ্রিয়া এই নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি করেছেন। সুমনের বক্তব্য ছিল, গোবর পোড়ালে যে ধোঁয়া আসে তাতেই ভাইরাসের বিনাশ ঘটে।

তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, গরুর মূত্র হোক বা গোবর পোড়া ধোঁয়া কোভিড থেকে আড়াল করতে পারছে না বিজেপির শীর্ষ নেতাদেরও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement