—প্রতীকী চিত্র।
ব্রিটেনের পরে আমেরিকা থেকেও নোভেল করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরির বরাত পেল পুণের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।
এই মুহূর্তে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের আবিষ্কৃত সম্ভাব্য টিকার উৎপাদন ও পরীক্ষার কাজ চালাচ্ছে সিরাম। গত ৩০ জুলাই তাদের সঙ্গে চুক্তি করেছে মার্কিন সংস্থা ‘নোভাভ্যাক্স’। ‘এনভিএক্স-কোভ-২৩৭৩’ নামে নিজস্ব সম্ভাব্য প্রতিষেধক এনেছে এই সংস্থাটি। সেই প্রতিষেধকের উৎপাদন ও সরবরাহের বরাত পেয়েছে সিরাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিকিওরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’-এ নোভাভ্যাক্সের জমা দেওয়া নথির ভিত্তিতে আজ এই খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
চুক্তির পূর্ণ মেয়াদে ভারতে এই টিকার স্বত্ব একমাত্র সিরামকেই দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সেটি তৈরি, পরীক্ষা ও বিক্রির অধিকার তাদেরই থাকবে। গত মঙ্গলবার নোভাভ্যাক্স জানায়, ছোট পরিসরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রাথমিক ধাপগুলিতে আশাপ্রদ ফল দিয়েছে তাদের টিকা। সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের এই টিকা দিয়ে দেখা গিয়েছে, তাঁদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে— যা কোভিড থেকে সেরে ওঠা মানুষদের শরীরে স্বাভাবিক ভাবে তৈরি অ্যান্টিবডির সংখ্যার চেয়েও বেশি। নোভাভ্যাক্স জানিয়েছে, সম্ভাব্য টিকার ক্ষেত্রে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা তারা সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে শুরু করতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ২০২১-এর আগেই ওই টিকার ১০০ থেকে ২০০ কোটি ডোজ় তৈরি হয়ে যাবে।
অক্সফোর্ডের তৈরি সম্ভাব্য টিকার বিপুল উৎপাদনের লক্ষ্যে ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে সিরাম আগেই গাঁটছড়া বেঁধেছে। প্রতিষেধকের ডোজ় উৎপাদনের সংখ্যার নিরিখে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে রয়েছে আদর পুনাওয়ালার সংস্থাই। ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ডিসিজিআই গত সপ্তাহেই অক্সফোর্ডের টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালানোর জন্য সিরামকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে।