সপ্তাহান্তে লকডাউন চলাকালীন জনশূন্য মুম্বই। ছবি: এএনআই।
শুধুমাত্র সপ্তাহান্তেই নয়। অতিমারি ঠেকাতে ফের সম্পূর্ণ লকডাউন হতে পারে মহারাষ্ট্রে। শনিবার সর্বদলীয় বৈঠকে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর মতে, নোভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে গেলে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। রবিবার কোভিড টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে জরুরি বৈঠক রয়েছে তাঁর। সরকারি সূত্রে খবর, তার পরই সব দিক খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়তে পারে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় প্রতি দিন দেশে উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। এই বিপুল সংক্রমণের অর্ধেকের বেশি আবার ধরা পড়ছে মহারাষ্ট্রে। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে সব দলকে নিয়ে বৈঠক করেন উদ্ধব। সেখানেই লকডাউনের পক্ষে তিনি জোর সওয়াল করেন বলে জানা গিয়েছে।
বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। তাতে উদ্ধবের বক্তব্য ছিল, ‘দ্রুত গতিতে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। আজ যদি লকডাউনের সিদ্ধান্ত না-ও নিই আমরা, আগামী কাল আপনা আপনিই তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হবে। এক দিকে মানুষের আবেগ, অন্য দিকে অতিমারি। এই যুদ্ধে জিততে হলে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে’।
তবে উদ্ধব লকডাউনের পক্ষে সওয়াল করলেও এনসিপি এবং কংগ্রেস এখনই লকডাউনের পক্ষে রাজি নয় বলেই শোনা যাচ্ছে। এমনকি বিরোধী দল বিজেপি-ও লকডাউনের প্রশ্নে খানিকটা ইতস্তত বোধ করছে। দলের নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস প্রকাশ্যেই বলেন, ‘‘লকডাউন করলে মানুষ রেগে যাবেন। বন্ধ হয়ে যাবে বড় বড় ব্যবসা। বিজেপি লকডাউনের বিরোধী নয়। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা মতো এগোতে হবে।’’
সংক্রমিতদের দ্রুত চিহ্নিত করা এবং কম বয়সিদেরও টিকাকরণের আওতায় যত শীঘ্র সম্ভব নিয়ে আসতে পারলে তবেই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় সম্ভব বলে আগেও মন্তব্য করেন উদ্ধব। ভারতে শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৩২৯ জন করোনা রোগীর মৃ্ত্যু হয়েছে।