University of Oxford

জরুরি ভিত্তিতে কোভিড টিকাকরণের জন্য দু’সপ্তাহের মধ্যে আবেদন করবে সিরাম

করোনার টিকা ‘কোভিশিল্ড’-এর সুরক্ষা-সহ এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ফের একবার আশ্বস্ত করেছেন এসআইআই-এর শীর্ষকর্তা আদর পুনাওয়ালা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২০ ০০:৪৫
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকাকরণের জন্য আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করবে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)। শনিবার এই ঘোষণা করেছেন এসআইআই-এর শীর্ষকর্তা আদর পুনাওয়ালা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরেজমিনে করোনার টিকার অগ্রগতি এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দেশের তিনটি শহরের টিকা প্রস্তুত কেন্দ্রে শনিবার পরিদর্শনে যাওয়ার পরই সিরামের তরফে এই ঘোষণা করা হল।

Advertisement

শনিবার পুনাওয়ালা বলেন, “ভারত সরকার কোভিড টিকার কতগুলি ডোজ কিনবে, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছ থেকে লিখিত ভাবে কিছু পাইনি। তবে ২০২১ সালের জুলাই মাসের মধ্যে যে ওই সংখ্যাটা ৩০ থেকে ৪০ কোটি হতে পারে, সে ইঙ্গিত মিলেছে।”

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে করোনার টিকা ‘কোভিশিল্ড’ তৈরি করছে ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী বহুজাতিক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এ দেশে ওই টিকার উৎপাদন এবং পরীক্ষার বরাত পেয়েছে পুণের সংস্থা এসআইআই। চলতি বছরের শেষেই ওই টিকা ভারতের বাজারে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। শনিবার পুনাওয়ালা বলেন, “আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই টিকা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।”

Advertisement

শনিবার সকাল থেকেই আমদাবাদ, হায়দরাবাদ এবং পুণের তিনটি টিকা প্রস্তুত কেন্দ্রে যান প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে গুজরাতের জাইডাস ক্যাডিলা-র কারখানায় যান তিনি। সেখানে তাদের তৈরি টিকা ‘জাইকোভ-ডি’-এর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। এরপর দুপুরে মোদী পা রাখেন ভারত বায়োটেকের হায়দরাবাদের কারখানায়। পুরোপুরি দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ নিয়ে সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা করেন তিনি। হায়দরাবাদ থেকে বিকেলে এসআইআই-এর প্ল্যান্টে পুণেতে যান মোদী। এসআইআই-তে টিকা প্রস্তুতকারী দলের সঙ্গে যে তাঁর আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে, সে কথাও টুইট করে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উৎপাদন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ভবিষ্যতে তা বৃদ্ধি করার এসআইআইয়ের পরিকল্পনা সম্পর্কেও খুঁটিনাটি জানানো হয়েছে তাঁকে।

আরও পড়ুন: করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা ফের বাড়ল রাজ্যে, ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হার

আরও পড়ুন: বাজারে এলেই সমস্ত দিল্লিবাসীকে ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে টিকাকরণের প্রতিশ্রুতি আপ সরকারের

সোমবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ডের তরফে যৌথ ভাবে দাবি করা হয়েছিল, তাদের তৈরি টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকরী। টিকার সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ফের একবার আশ্বস্ত করেছেন পুনাওয়ালা। তাঁর কথায়, “এই মুহূর্তে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে যে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে, তা যথেষ্ট। ভবিষ্যতে হয়তো ১৮ বছরের কম বয়সিদের উপর এটি পরীক্ষা করা হবে।”

টিকার উৎপাদনের পরিমাণ নিয়ে পুনাওয়ালা বলেছেন, “এই মুহূর্তে মাসে ৫-৬ কোটি ডোজ তৈরি করা হচ্ছে। তবে জানুয়ারির পরে তা বাড়িয়ে মাসে ১০ কোটি ডোজ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement