প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
করোনার চিকিৎসা করতে গিয়ে রোষে পড়ছেন চিকিৎসকরা। কোথাও ভাড়াবাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হচ্ছে তাঁদের। কোথাও আবার নানা টিপ্পনি শুনতে হচ্ছে তাঁদের। দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন ঘটনা সামনে আসছে। তা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানিয়ে দিলেন, বিপদের দিনে যাঁরা মানুষের সেবায় নিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদের হেনস্থা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীর মানুষের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এই বিপর্যয়ের সময়ে সাদা কোট পরে যাঁরা দৌড়ে বেড়াচ্ছেন, তাঁরা ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি। বিপদ অগ্রাহ্য করে জীবন বাঁচিয়ে চলেছেন তাঁরা। নিজেদের জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেছেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এই সমস্ত ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কেউ হেনস্থা হতে দেখলে এগিয়ে আসুন। হেনস্থাকারীকে বোঝান, তারা যা করছে তা ভুল।’’
এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং রাজ্যের ডিজিপিদের সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং সমস্ত রাজ্যের ডিজিপিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওঁদের বলেছি, এই বিপদের দিনে যে ডাক্তার-নার্স এবং জরুরি পরিষেবা প্রদানকারীরা মানুষের সেবা করে চলেছেন, তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা না করলে কড়া পদক্ষেপ করতে।’’
আরও পড়ুন: লকডাউনে মোট ক্ষতি হতে পারে ৯ লক্ষ কোটি টাকা! হিসাব দিল ব্রিটিশ সংস্থা
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে আটকে ২৭ বাঙালি, উদ্ধার পেতে কাতর আর্তি নবান্নের কাছে
মোদী আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে হাসপাতালের কর্মীরা ১৮ ঘণ্টা কাজ করছেন। দিনে ২-৩ ঘণ্টার বেশি ঘুমোতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা। দরিদ্র মানুষের জন্যও প্রতিদিন কাজ করে চলেছেন কিছু মানুষ। ওঁদের প্রত্যেককে স্যালুট করা উচিত আমাদের।’’
নোভেল করোনার প্রকোপ ঠেকাতে মঙ্গলবার রাতেই দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী। ওই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেন তিনি। এ দিনও ফের একই বার্তা দেন তিনি। মোদী বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত করোনার প্রতিষেধক বার করা যায়নি। তাই নিজে থেকে চিকিৎসা করতে যাবেন না। বাড়িতে থাকুন। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।’’ মহাভারতে যুদ্ধ জয়ে ১৮ দিন সময় লেগেছিল। করোনার বিরুদ্ধে ২১ দিনে জয়লাভ করতে হবে বলেও এ দিন জানান তিনি।