গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬৩৭। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার নতুন করে ২৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গোটা দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। তবে আশার খবর এই যে, ইতিমধ্যেই ১৩২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে কেরল। সেখানে ইতিমধ্যেই ২৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২১৬। তার পরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, কর্নাটক, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু এবং রাজস্থান। উত্তরপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১০১। দিল্লিতে ৯৭, কর্নাটকে ৮৩, তেলঙ্গানা ৭৯, তামিলনাড়ু এবং রাজস্থানে ৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে মৃত্যুর নিরিখে দেশের মধ্যে সবচেয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৯। তার পরে রয়েছে গুজরাত। সেখানে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্য দিকে, নিজামউদ্দিনের সভায় যোগ দেওয়া তেলঙ্গানার অন্তত ৬ বাসিন্দা করোনা-আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গেরও কয়েকশো মানুষ গিয়েছিলেন দিল্লির ওই সভায় যোগ দিতে। তাঁদের একটি অংশ ইতিমধ্যে ফিরেও এসেছেন বাংলায়। আর সেটাই রাজ্য প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। অন্য দিকে, গৃহ-পর্যবেক্ষণের সংখ্যা এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দিন নতুন করে ১০ হাজার ৩১৩ জনকে গৃহ-পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়েছে। ফলে গৃহ-পর্যবেক্ষণের সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ৪০৪ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় রাজ্যে দ্বিতীয় মৃত্যু, এ বার কালিম্পঙে মৃত ৪৪ বছরের মহিলা
আরও পড়ুন: ভবানীপুরের অভিজাত আবাসনের ১৬ তলায় আগুন, বাসিন্দাদের উদ্ধারে দমকল-পুলিশ
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)