সন্তান কোলে নিয়ে অফিসে জি শ্রীজন। ছবি: টুইয়ার থেকে নেওয়া।
এক দিকে মায়ের দায়িত্ব, অন্য দিকে দেশের প্রতি কর্তব্য— কোনটাকে আগ্রাধিকার দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তর নিজের কাজ দিয়ে দেখিয়ে দিলেন জি শ্রীজন, গ্রেটার বিশাখাপত্তনম মিউনিসিপল কর্পোরেশন (জিভিএমসি)-এর কমিশনার। পুত্রসন্তানের জন্মের ২২ দিনের মধ্যে আবার নিজের অফিসে এসে কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি।
সন্তানের জন্মের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে পর্যন্ত নিজের অফিসে দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন জি শ্রীজন। এর পর হাসপাতালে ভর্তি হন, সন্তানের জন্ম দেন। এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে দেন।
গোটা দেশ এখন কোরনাভাইরাসের অতিমারির সঙ্গে লাড়াই করছে। সরকারির আধিকারিকরা দিন রাত চেষ্টা করছেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া আটকানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যাতে বেঁচে থাকার রসদ ঠিক মতো পান। এই অবস্থায় আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি জি শ্রীজনও। তাঁর কর্তব্যপরায়নতা তাঁকে টেনে এনেছে তাঁর অফিসে। সন্তান কোলে নিয়েই অফিসে চলে আসেন।
আরও পড়ুন: করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরছেন যুবক, ভিডিয়ো শেয়ার করলেন মন্ত্রী
এত ছোট বাচ্চাকে নিয়ে কাজ করাটা সমস্যার। তাই জি শ্রীজন ঠিক করেছেন, ঘণ্টা চারেক ছাড়া ছাড়া বাড়ি গিয়ে সন্তানকে খাইয়ে আসবেন। আর বাকি সময়টা তাঁর আইনজীবী স্বামী ও জি শ্রীজনের মা তাঁর সন্তানের দেখভাল করবেন।
আরও পড়ুন: ঐক্যের বার্তা দিতে গিয়ে নিজের মুখে আগুন লাগিয়ে ফেললেন যুবক!
আইএএস অ্যাসোসিয়েশনের ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডেল শনিবার দু’টি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অফিসে বসে এক হাতে সন্তানকে কোলে ধরে রেখেছেন আর অন্য হাতে ফোনে কথা বলছেন তিনি। টুইটে উল্লেখ করা হয়েছে, মাতৃত্বকালীন ছুটি না নিয়েই অতিমারির মোকাবিলা করতে কাজে যোগ দিয়েছেন জি শ্রীজন।
আরও পড়ুন: মুখোশ ছাড়া জমায়েতের মাঝে বিজেপি বিধায়ক, হাতে মশাল নিয়ে নতুন স্লোগান
দেখুন সেই পোস্ট:
জি শ্রীজন জানিয়েছেন, প্রশাসন সাধারণ, দরিদ্র মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন বিশাখাপত্তনমে যেন পানীয় জলের কোনও সমস্যা না এই সময়। প্রশাসনের এই বিশাল কর্মকাণ্ডে তিনি শুধু তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে জি শ্রীজন যাই বলুন, তাঁর এমন ভূমিকা নেটাগরিকদের অকুণ্ঠ প্রশংসাট পেয়েছে। টুইটারে পোস্টটি ইতিমধ্যেই তিন হাজারের বেশি লাইক পেয়েছে। সেই সঙ্গে সমানে কমেন্ট ও শেয়ার হয়ে চলেছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)