নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
পরিযায়ী শ্রমিকেরা শহর থেকে ফিরতে শুরু করায় এ বার গ্রামে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেকেরই অবস্থান ছিল, পরিযায়ী শ্রমিকেরা যে যেখানে রয়েছেন, সেখানেই থাকুন। না হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে। কেন্দ্রীয় সরকারও সেই নীতি মেনেই চলছিল। কিন্তু গত সপ্তাহেই আচমকা প্রথমে বাস, পরে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে শ্রমিকদের নিজের নিজের রাজ্যে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন ট্রেন বা বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের ক্ষোভ ছিল।
অবস্থান বদলের ব্যাখ্যায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রথমে চেয়েছিল, শ্রমিকেরা যে যেখানে রয়েছেন, সেখানেই থাকুন। কিন্তু তাঁরা বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন। এটাই মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তাই সিদ্ধান্ত বদল করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, “এখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, গ্রামীণ ভারত যেন এই সঙ্কট থেকে মুক্ত থাকে।”
এখন দিনে প্রায় ৩০০টি ট্রেন চালিয়ে, ট্রেন পিছু আরও বেশি সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে রেল দ্রুত তাঁদের ঘরে ফেরানোর কাজ শেষ করতে চাইছে। ফলে কী ভাবে গ্রামে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোখা যাবে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছেন, এখন সুনির্দিষ্ট ভাবে করোনা ছড়ানো রোখার দিকে নজর দিতে হবে। মোদীর কথায়, “দেশের কতখানি এলাকায় অতিমারি ছড়িয়েছে, তা নিয়ে আমাদের একটা যুক্তিসঙ্গত ধারণা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কোথায়, তা-ও জানা। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবে কাজ করা উচিত, তা গত কয়েক সপ্তাহে জেলা স্তরের আমলারাও বুঝে গিয়েছেন।” সূত্রের খবর, মোদী বলেছেন, যে সব জায়গায় লকডাউন ঠিক ভাবে মানা হয়নি, সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীরা করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে রাজ্যে: অভিজিৎ