শুনশান রাজধানী। ছবি: পিটিআই।
করোনা আতঙ্কে আন্তর্জাতিক বিমানের ওঠানামা নিষিদ্ধ হয়েছিল আগেই। এ বার রাজধানী দিল্লিতে সমস্ত অন্তর্দেশীয় বিমানের ওঠানামাও বন্ধ করা হল। সোমবার থেকে আগামী ৩১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ রুখতে রবিবার দিনভর দেশ জুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে সোমবারও দেশের ৭৫টি জেলা। লকডাউনের প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার সন্ধ্যায় যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল। সেখানেই সমস্ত অন্তর্দেশীয় বিমানের ওঠানামা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়।
এ দিন অনিল বৈজল বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপ রুখতে সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীর সমস্ত এলাকা লকডাউন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: লকডাউনে কী কী খোলা, কী কী বন্ধ? দেখে নিন এক নজরে
দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সে কথা মাথায় রেখে বিশেষ ভাবে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে এ দিন মন্তব্য করেন কেজরীবাল। তিনি বলেন, ‘‘২৭ জন আক্রান্তের মধ্যে ২১ জন বিদেশ থেকে ফিরেছেন, ৬ জন এখানে সংক্রমিত হয়েছেন। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামিকাল সকাল ৬টা থেকে ১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত রাজধানীকে লকডাউন করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। কাল থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত অন্তর্দেশীয় বিমানের ওঠানামাও বন্ধ থাকবে।’’
লকডাউন থাকাকালীন রাজধানীতে কোনও বেসরকারি বাস, অটো, ই-রিকশা চলবে না বলেও জানিয়েছেন কেজরীবাল। তবে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যে সমস্ত মানুষ যুক্ত, তাঁদের জন্য ডিটিসি ২৫ শতাংশ বাস রাস্তায় নামাবে বলে জানান তিনি। সমস্ত বেসরকারি সংস্থাগুলিও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ওই সময়ে কর্মীদের বেতন কাটা চলবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন কেজরীবাল।
আরও পড়ুন: রাজ্যে কোথায় কোথায় লকডাউন, এক ঝলকে দেখে নিন
নিরাপত্তার খাতিরে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। চার জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েচে দিল্লি পুলিশ। বাইরে থেকে সংক্রমিত কেউ যাতে রাজধানীতে প্রবেশ করতে না পারেন, তার জন্য সীমানাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।