ছবি: সংগৃহীত।
করোনার সংক্রমণ রুখতে কন্টেনমেন্ট জোনে সমস্ত দোকানপাট-বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সোমবার কোভিডের মোকাবিলায় মন্ত্রকের তরফে একটি নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সংক্রমণে রাশ টানতে কন্টেনমেন্ট জোনের সমস্ত বাজারহাট বন্ধ রাখতে হবে। তবে ওই এলাকার বাইরে বাজার খোলা রাখা যাবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।
শীতের মরসুমে দেশ জুড়ে সংক্রমণ ঊর্ধমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই আবহে দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আগামী শুক্রবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার সংক্রমণে রাশ টানতে নতুন করে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, কন্টেনমেন্ট জোনে বাজার নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা ছাড়াও আমজনতার উদ্দেশেও একগুচ্ছ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে এমন মানুষজনকে অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না বেরোনোর আর্জি জানিয়েছে মন্ত্রক। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক, কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন মানুষজনের পাশাপাশি অন্তঃসত্ত্বা এবং ১০ বছরের কমবয়সি শিশু যাতে বাড়িতেই থাকেন এবং কেবলমাত্র প্রয়োজনেই বাড়ি থেকে বেরোন— মন্ত্রকের তরফে সে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, দোকানদারেরা যাতে সরাসরি মানুষের সংস্পর্শে না আসেন, সে দিকেও খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ সফল টিকা, দাবি মডার্নার, আবেদন ছাড়পত্রের
আরও পড়ুন: নতুন বছরেই বৃদ্ধি শুরু জিডিপি-র দাবি করলেন অমিত শাহ
এই নয়া নির্দেশিকা যাতে যথাযথ ভাবে পালন করা হয়, সে দিকেও লক্ষ রাখবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কন্টেনমেন্ট জোনে বাজার বন্ধ রাখা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এ বিষয়ে সহায়তা করা এবং নজরদারির জন্য ওই সংগঠনগুলিকে একটি সাব-কমিটি তৈরি করতে হবে। যাতে কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ পালনে কোনও বিচ্যুতি না ঘটে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী, কন্টেনমেন্ট জোনে বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশিকা মান্য় করা না হলে কড়া পদক্ষেপ করবে সরকার। কোনও এলাকায় সংক্রমণ বেড়ে গেলে সেখানে বাজার খোলা রাখা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হবে। এমনকি, ওই এলাকায় একদিন অন্তর বাজার বন্ধ রেখে সংক্রমণে রাশ টানার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।