প্রতীকী ছবি।
দরজার সামনে ঝুলছে নোটিস— ‘বাড়ি বিক্রি আছে’।
মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে প্রায় ২৮০ কিলোমিটার দূরে শিবপুরী শহরে এই বাড়ির মালিকের সঙ্গে যথেষ্ট হৃদ্যতা ছিল প্রতিবেশীদের। ১৮ মার্চ দুবাই থেকে ফেরার কয়েক দিন পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর। প্রশাসনের তৎপরতা, সঙ্গে কঠোর ইচ্ছাশক্তির জোরে সেরে ফেরেন ঘরে। তার পরেই বদলে গেল সব কিছু। পড়শিরা বয়কট করেছেন গোটা পরিবারটিকে। ধোপা-নাপিত তো বটেই, পাড়ার দোকান থেকে চাল-আটা কেনাও বন্ধ করে বসেছে নিষেধাজ্ঞা। রাত হলে ভেসে আসে শাপ-শাপান্ত, গালাগালি। কারণ, অন্য কারও করোনা-সংক্রমণ ধরা না-পড়লেও বছর ৩৪-এর এই যুবকের সঙ্গে মেলামেশার কারণে পাড়ার ৬৩ জনকে খুঁজে বার করে নিভৃতবাসে পাঠিয়েছে প্রশাসন।
গৃহকর্তার বৃদ্ধ বাবার প্রশ্ন— “কারও করোনা হওয়া কি অপরাধ! আমাদের দোষটা কী বলুন?” ঘাড় নাড়েন বাড়ির তরুণ মালিক। বলেন, “বাড়ি বেচে চলে যাওয়া ছাড়া কিছু করার নেই আমাদের!”
আরও পড়ুন: করোনা-আতঙ্কে বন্ধ উৎসব, বাড়িতে বসেই নববর্ষ পালনের আহ্বান হাসিনার