গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
বিভিন্ন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এর মধ্যেই বড়সড় লাফ দিল দেশে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২১৩ জন, যা নতুন রেকর্ড। যার ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৬৭ হাজার ১৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। তার জেরে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা এখন ২ হাজার ২০৬ জন।
দেশে সংক্রমণ বাড়লেও, সুস্থ হয়ে ওঠার হারও অনেকটা বেড়েছে। রবিবার সুস্থ হয়ে ওঠার হার ছিল ২৬.৫৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়ে হয়েছে ৩১.১৪ শতাংশ। ইতিমধ্যেই করোনাকে হারিয়ে সারা দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ হাজার ৯১৭ জন।
তবে সংক্রমণের জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে ২২ হাজার ১৭১ জন করোনায় আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৮৩২ জনের। সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ১৯৯ জন। এর পরেই রয়েছে গুজরাত। সেখানে আক্রান্ত ৮ হাজার ১৯৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৯৩ জনের। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দিল্লিকে টপকে গিয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ২০৪ জন। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। দিল্লি নেমে এসেছে চতুর্থ স্থানে। সেখানে আক্রান্ত ৬ হাজার ৯২৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের।
আরও পড়ুন: আজ মোদীর বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীরা ॥ টিকিট আজই, কাল চালু রেল
এ ছাড়াও রাজস্থান (৩,৮১৪), মধ্যপ্রদেশ (৩,৬১৪), উত্তরপ্রদেশ (৩,৪৬৭), অন্ধ্রপ্রদেশ (১,৯৮০), তেলঙ্গানা (১,১৯৬)-সহ একাধিক রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। কেরলে ৫১২ জন করোনায় আক্রান্ত। তবে তার মধ্যে ৪৮৯ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যে এক দিনে মৃত ১৪, আক্রান্ত ১৫৩
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত। ১ হাজার ৯৩৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৮৫ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪১৭ জন। রবিবার নবান্ন জানিয়েছে, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৩ জন। সরাসরি কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। ওই দিন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে মৃতের সংখ্যা ৯৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৩। কো-মর্বিডিটিতে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনা পজিটিভ মৃত্যুর সংখ্যা ১৮৫। দেশে মৃতদের মধ্যে ৭০ শতাংশ কো-মর্বিডিটির কারণে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও।