ছবি: এপি।
লালারসের নমুনা যাচাই তো থাকছেই। সেই সঙ্গে করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত করতে দ্রুত অ্যান্টিবডি-নির্ভর রক্তপরীক্ষার জন্য একটি নির্দেশিকা দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর।
কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা অ্যান্টিবডি-নির্ভর রক্তপরীক্ষা সংক্রান্ত যে-নির্দেশিকা দিয়েছে, তা ‘করোনা-ক্লাস্টার’ হিসেবে চিহ্নিত এলাকার জন্য প্রযোজ্য। ক্লাস্টারের সংজ্ঞা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সংক্রমণ রোধ পরিকল্পনায় (কন্টেনমেন্ট প্ল্যান)। সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী যদি এমন হয় যে, আক্রান্ত ব্যক্তি করোনা প্রভাবিত এলাকা থেকে আসেননি। অন্য কোনও আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার ইতিহাসও নেই। সংক্রমিত হতে পারেন, এমন কোনও সম্ভাবনার কথাও বলা যাচ্ছে না। একটি এলাকায় এই ধরনের একাধিক করোনা-রোগী পাওয়া গেলে সেটাই ‘করোনা-ক্লাস্টার’ হিসেবে চিহ্নিত হবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এটিকে গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিতও বলা যায়।
এই পরিস্থিতিতে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো (কাশি, ঠান্ডা লাগা, অল্প জ্বর, গলা জ্বালা) উপসর্গযুক্ত রোগীদের উপরে বিশেষ নজর দিতে বলেছে আইসিএমআর। হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হঠাৎ যদি এই ধরনের রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়, তা হলে করোনা সংক্রান্ত নজরদারির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে বিষয়টি জানাতে হবে। আইসিএমআর জানিয়েছে, বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস’ (ইলি)-এ পীড়িত রোগীদের ১৪ দিন গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকার পরামর্শ দেওয়া উচিত। গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকার মতো পৃথক ঘর অনেকের নেই। সে-ক্ষেত্রে সন্দেহভাজনকে সরকারি তত্ত্বাবধানে কোয়রান্টিনে বা নিভৃতবাসে রাখার বন্দোবস্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনা ‘ঠেকাতে’ আলো-বাজি-পটকা-হুল্লোড়ে মেতে উঠল দেশ
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, র্যাপিড অ্যান্টিবডি-নির্ভর রক্তপরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে ইলি-রোগীদের সম্ভাব্য করোনা-আক্রান্ত হিসেবে প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা করতে হবে। রক্তপরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও নিশ্চিন্ত হওয়ার কারণ নেই। এ ক্ষেত্রে দু’ধরনের পরামর্শ মেনে চলতে বলেছে আইসিএমআর। প্রথমত, প্রয়োজনে ‘রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ় চেন রিঅ্যাকশন’ (আরটি-পিসিআর) পদ্ধতিতে সন্দেহভাজনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। তাতে রিপোর্টে পজ়িটিভ ধরা পড়লে কোভিড এবং নেগেটিভ হলে ‘নন-কোভিড ইলি’ সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত হবেন ওই রোগী। দ্বিতীয়ত, আরটিপিসিআর না-করলে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। প্রথম বার র্যাপিড অ্যান্টিবডি-নির্ভর রক্তপরীক্ষার ১০ দিনের মাথায় আবার একই পরীক্ষা করতে হবে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে সংশ্লিষ্ট ইলি সন্দেহভাজন ব্যক্তি সম্ভাব্য কোভিড রোগী হিসাবে চিহ্নিত হবেন।
বর্তমানে সারা দেশে ২০০টির বেশি ল্যাবরেটরিকে করোনা পরীক্ষার জন্য অনুমোদন দিয়েছে আইসিএমআর। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে করোনা পরীক্ষা করার আবেদনের ভিত্তিতে নতুন পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য নির্দেশিকা দিয়েছে তারা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)