গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ (গ্রাফিক আপডেট হচ্ছে)
লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর। তার আগেই কেন্দ্রের চিন্তা বাড়িয়ে গত চব্বিশ ঘণ্টায় গোটা দেশে প্রায় দু’হাজার জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হলেন। আশার খবর একটাই। ভেন্টিলেশনে যাওয়া এক রোগী প্লাজ়মা-চিকিৎসায় সেরে উঠেছেন বলে দাবি করেছেন দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত কাল থেকে দেশ জুড়ে নতুন সংক্রমণ ১৯৭৫টি। মারা গিয়েছেন আরও ৪৭ জন। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন যদিও দাবি করেন, দেশে ‘হটস্পট’ জেলার সংখ্যা কমে আসছে। এ নিয়ে কোনও পরিসংখ্যান দেননি তিনি। রাতে জানা যায়, নয়াদিল্লির এমসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’ (ওএসডি) যে অফিসটিতে বসেন, সেখানকার এক রক্ষীর করোনা ধরা পড়েছে। ওই অফিসার-সহ বেশ কয়েক জন কর্মীকে নিভৃতবাসে পাঠিয়ে গোটা ‘উইং’ জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। রাজধানীর অম্বেডকর হাসপাতালের এক নার্সও সংক্রমিত হয়েছেন। এ দিকে, অন্ধ্রের রাজভবনের চার কর্মীর এবং সেই রাজ্যের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের এক সাংসদের পরিবারের ছ’জনের করোনা ধরা পড়েছে।
ক্রমাগত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলায় করোনা থেকে সেরে ওঠা কোনও ব্যক্তির প্লাজ়মা বা রক্তরস প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসা কত দূর কার্যকর হতে পারে, সেই চর্চা চলছিলই। দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সেখানে ভর্তি-হওয়া ৪৯ বছর বয়সি এক করোনা-রোগীকে দিন সাতেক আগে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়েছিল। তার পরেও অবস্থার বিশেষ উন্নতি না-হওয়ায় পরিবারের অনুমতি নিয়েই করোনা-সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা এক ব্যক্তির প্লাজ়মা তাঁর শরীরে পাঠিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চতুর্থ দিনের পর থেকেই সুস্থ হয়ে উঠতে থাকেন ওই রোগী। আজ তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে সরকারের নির্দেশ মেনে আরও দু’সপ্তাহ নিভৃতবাসে থাকতে হবে তাঁকে। এই সূত্রেই সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। বলেছেন, ‘‘প্লাজ়মার জাতি, ধর্ম হয় না। করোনা-আক্রান্তদের বাঁচাতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এগিয়ে আসছেন। তাঁরা বিভিন্ন জাতি, বিভিন্ন ধর্মের।’’
আরও পড়ুন: লকডাউন থেকে পরিযায়ী শ্রমিক, আজ মোদীর কথা মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে আজ কার্যত নজিরবিহীন ভাবেই অক্ষয় তৃতীয়া এবং ‘চন্দন যাত্রা’-র বিশেষ অনুষ্ঠান মন্দিরের চৌহদ্দির ভিতরেই সম্পন্ন করা হয়েছে। করোনা-পরিস্থিতিতে ভক্ত সমাগম এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। পুরীর গজপতি মহারাজা দিব্যসিংহ দেব (যিনি মন্দিরের পরিচালন কমিটির প্রধান) জানান, ২৩ জুন রথযাত্রা আয়োজনের বিষয়ে লকডাউনের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশাধিকার থাকছে না।
আরও পড়ুন: দূরত্ব রাখতে ছাতা খুলুন, বলছে কেরল
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)