প্রতীকী ছবি।
কোভিড সংক্রমণে নতুন নজির গড়ে গত কাল এক দিনে গুয়াহাটিতে ৭৮২ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলল! রাজ্যেও এক দিনে বাড়ল ১২০২ জন রোগী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, ২৪ জুন থেকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে শুধু গুয়াহাটিতেই ২৭৮১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সকলেই সামাজিক সংক্রমণের শিকার। গুয়াহাটিতে পূর্ণ লকডাউন চলছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সতর্কবাণী প্রকৃত অতিমারি পর্বে প্রবেশ করেছে গুয়াহাটি তথা রাজ্য। অত্যন্ত সতর্কতা না নিলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। পরিস্থিতি বুঝে লকডাউন বাড়ানো হতে পারে।
বিভিন্ন হাসপাতালে অব্যবস্থার অভিযোগ উঠলেও মন্ত্রীর দাবি, এ সবের পিছনে আছে রাজনৈতিক অপপ্রচার। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি নিজে পিপিই কিট পরে কোভিড ওয়ার্ডগুলিতে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগারের সব চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ায় পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গত কাল যোরহাট থেকে ডাক্তারেরা এসে ফের পরীক্ষা শুরু করেছেন।
আইসিএমআর জানিয়েছে উপসর্গহীন করোনা রোগীরা বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে পারবেন। কিন্তু হিমন্ত জানান, অসমে অধিকাংশ বাড়িতে অনেকে একই শৌচালয় ব্যবহার করেন, আবাসনে একটিই লিফট থাকে। তাই করোনা রোগীদের বাড়িতে রাখা যাবে না। কাছাড় জেলার জিরিঘাটের বাসিন্দা এক এএসআই সীমা লাগোয়া মণিপুরের জিরিবামে কর্মরত। প্রথমে তাঁর সংক্রমণ হয়। সেখান থেকে জিরিবাম পুলিশের আরও ২৭ জনের সংক্রমণ ঘটে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে অসমের জিরিঘাটে। ব্যবসায়ীরা সোমবার থেকে ৬ দিন লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেন।