প্রতীকী ছবি।
প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের টিকাকরণ প্রায় শেষ। এ বার দ্বিতীয় দফায় শুরু হচ্ছে ৬০ বছরের বেশি প্রবীণ নাগরিকদের টিকাকরণ। পাশপাশি ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের ‘কো-মর্বিডিটি’ থাকলেও টিকা পাবেন তাঁরা। তার জন্য সোমবার সকাল ৯টা থেকেই শুরু হচ্ছে নাম নথিভুক্তিকরণ। কী ভাবে নাম নথিবদ্ধ করতে হবে, রবিবার তার নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। বেসরকারি হাসপাতালে টিকা নিতে হলে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা লাগতে পারে। সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে টিকা মিলবে বিনামূল্যেই।
সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় পর্যায়ের কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি। ‘কো-উইন ২’ অ্যাপের মাধ্যমে নাম নথিবদ্ধ করতে হবে। নথিবদ্ধ করার সময় সচিত্র পরিচয়পত্রের নম্বর দিতে হবে। আধার, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো নথি গ্রাহ্য হবে। এ ছাড়া নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে নাম লেখালে ওই অ্যাপে টিকাকরণ ‘নিশ্চিত’ দেখালে সেখানেই টিকাকেন্দ্রের নাম ও সময় উল্লেখ করা থাকবে। সেই নথির কপি এবং সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে যেতে হবে।
৪৫ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে যাঁরা, তাঁদের জন্য মোট ২০টি ‘কো-মর্বিডিটি’ নির্ধারিত করে দিয়েছে কেন্দ্র। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কখনও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগার মতো ‘কো-মর্বিডিটি’ থাকলেও মিলবে টিকা।
রবিবার কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘পিএমজয়’ প্রকল্পে ১০ হাজারেরও বেশি বেসরকারি হাসপাতাল নথিভুক্ত হয়েছে টিকাকরণের জন্য। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় এসেছে প্রায় ৬০০ হাসপাতাল। এ ছাড়া টিকা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে প্রচুর বেসরকারি হাসপাতাল। সঙ্গে রয়েছে সরকারি হাসপাতালও। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ-প্রশাসক, পুরকর্মীদের মতো সামনের সারির কোভিড যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হয়েছে প্রথম ধাপে। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকাকরণও শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। এই পর্যায়ের টিকাকরণ চলবে আগামী ৬ সপ্তাহ।