রবিবারের ব্রিগেডে শেষ দুই বক্তা, বাঁদিকে দেবলীনা হেমব্রম ও ডানদিকে মহম্মদ সেলিম
ব্রিগেড মানে ময়দানে ভিড়। কিন্তু বামেদের ব্রিগেড মানে মঞ্চেও ভিড়। কারণ, সব জোট সঙ্গীর প্রতিনিধিত্ব চাই। আবার বক্তা তালিকাতেও সেই প্রতিনিধিত্ব রাখতে হয়। রবিবারও তার ব্যতিক্রম হল না। বাম শরিকরা তো বটেই, সেই সঙ্গে কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ। আব্বাস তাঁর দলের একমাত্র বক্তা হলেও কংগ্রেসের পক্ষে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী ছাড়াও ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। কেমন বক্তব্য রাখলেন কে? কার কথায় বেশি উত্তাল হল ব্রিগেড? তাঁর হিসেব কষেছি আমরা। আর সেটা করতে গিয়ে দেখা গেল, বামেদের মধ্যে মঞ্চ মাতানোয় এখনও এগিয়ে সিপিএম। অন্য দিকে, শক্তি অনুযায়ী ম্লান শরিকরা। তবে রবিবারের জমায়েতে নিজের শক্তি দেখানো আব্বাস গলার জোরও দেখিয়েছেন বক্তব্যে। বলা যেতে পারে ব্রিগেডের উচ্ছ্বাসে তিনিই ছিলেন ‘হিরো’। আবার জোটের মঞ্চে দাঁড়িয়ে জোটের অন্দরের বিতর্ক সামনে এনে তিনিই ব্রিগেডে ছন্দপতনের ‘ভিলেন’।
গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ
বাম থেকে কংগ্রেস, আইএসএফ সকলেই বলছে রবিবার ব্রিগেডের ভিড় ছিল ঐতিহাসিক। সেই দাবির সত্যতা পরিসংখ্যান বলবে। কিন্তু বক্তব্যের নিরিখে অনেক ঐতিহাসিক সমাবেশ দেখেছে এই ব্রিগেড। সেই হিসেবে রবিবারের সমাবেশকে সামগ্রিক ভাবে ‘ফেল’ বলাও অত্যুক্তি হবে না।