গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
বৃহস্পতিবার দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ ছুঁয়ে ফেলেছিল শুক্রবার তা আরও ৬.৭ শতাংশবেড়ে দাঁড়াল দু’ লক্ষ ৬৪ হাজার অর্থাৎ দেশে এখন রোজ গড়ে আড়াই লক্ষ করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন।
যে হারে সংখ্যা বাড়ছে, তাতে দৈনিক তিন লক্ষ করোনা সংক্রমণের যে পূর্বাভাস বিশেষজ্ঞরা দিয়েছিলেন, তা ছুঁতে খুব বেশি দিন সময় লাগার কথা নয়।বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছিলেন, ওমিক্রনের প্রভাবে দেশে যে সাম্প্রতিক করোনাস্ফীতি দেখা দিয়েছে, তাতে জানুয়ারির শেষে দৈনিক ১০ লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে সংক্রমণ। শুক্রবারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, দৈনিক সংক্রমণের হার বা পজিটিভিটি রেট গত ২৪ ঘণ্টায় চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে ১০ থেকে ১৩ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল পজিটিভিটি রেট। শুক্রবার তা ১৪.৭ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ যত জনের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে, তার মধ্যে প্রতি ১০০জনে ১৫ জন করোনা আক্রান্ত। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যাও গত ২৩৯ দিনে সর্বোচ্চ।
দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে মহারাষ্ট্রই। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ হাজার ৪০৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে। দৈনিক সংক্রনমণের নিরিখে ফের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দিল্লি। এক দিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৮ হাজার ৮৬৭ জন। কর্নাটকে দৈনিক সংক্রমণ ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। তার পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৪৬৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বাংলায়। তারপর রয়েছে যথাক্রমে তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, কেরল এবং ওড়িশা।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যু বাড়েনি। গত ২৪ ঘণ্টায়দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১৫ জন। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় কিছুটা কম। অতিমারি পর্বে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৫০ জনের।
এ দিকে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও ৪.৮৩ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত ৫৭৫৩ জন । সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৩৬২ জন।