গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ক্রমেই খারাপ হচ্ছে দেশের পরিস্থিতি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ধীরে ধীরে থাবা বসাচ্ছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দেখলেই তা মালুম হবে। সরকারি নথি বলছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬২ হাজার ৭১৪ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গত অক্টোবর মাস থেকে করোনা আক্রন্তের দৈনিক বৃদ্ধির সংখ্যায় যা সর্বোচ্চ।
এই বৃদ্ধির ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১ কোটি ১৯ লক্ষতে। গত অক্টোবরের ১৬ তারিখে শেষ বার দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজারের বেশি। মার্চের শেষে প্রায় সেই সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলল সংক্রমণ।
অন্য দিকে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১২ জনের। ২০২১ সালে প্রথমবার করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩১২ তে গিয়ে দাঁড়াল। শুধু তাই নয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের দৈনিক মৃতের সংখ্যায় এতটা বৃদ্ধি দেখা যায়নি। এর ফলে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৫২। ভারতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩১০। আশঙ্কা, সোমবার এই সংখ্যাটি পেরিয়ে যেতে পারে ৫ লক্ষের গণ্ডি। তবে দেশে সংক্রমণের হার রয়েছে শনিবারের কাছাকাছি। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছে ২৮ হাজার ৭৩৯ জন।
দেশে ক্রমে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। মহারাষ্ট্রে করোনার দাপট রুখতে ইতিমধ্যে রাত্রীকালীন কার্ফু জারি করা হয়েছে। রবিবার রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এই রাত্রিকালীন কার্ফু জারি থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। জমায়েত করলে বা মাস্ক ছাড়া মানুষকে রাস্তায় দেখা গেলে কড়া জরিমানার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে কোনও রকম জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের রাজ্য সরকার জানিয়েছে, যদি কোনও একটি নির্দিষ্ট অংশে সংক্রমণ বেশি দেখা যায়, তাহলে স্থানীয় স্তরে লকডাউন আরোপ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। শনিবার মহারাষ্ট্রে ৩৫ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে, একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৬৬ জনের।
দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২১ লক্ষ ৬০ হাজার ৯ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশে রবিবার পর্যন্ত মোট করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে ৬ কোটি ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৮২ জনকে।