নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ফের নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার, দোলের দিন বিকেলে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে তাঁর পৌঁছনোর কথা। তৃণমূল সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। শনিবারই স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রলয় পাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর একটি কথোপকথনের রেকর্ড প্রকাশ্যে এনেছেন। আনন্দবাজার ডিজিটাল যদিও ওই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। তবে প্রলয়ের সেই রেকর্ডই আপাতত আলোচনার কেন্দ্রে। ঘটনাচক্রে তার পরের দিনই নন্দীগ্রামে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ১০ মার্চ মমতা এই নন্দীগ্রামেই আহত হন। তার পর তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক দিন হাসপাতালে কাটানোর পর বাঁ পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে, হুইল চেয়ারে বসে ভোটপ্রচারে বিভিন্ন জেলায় সফরে গেলেও নন্দীগ্রামে আর আসেননি মমতা। ঠিক ১৮ দিনের মাথায় দোলপূর্ণিমার দিন তিনি ফের নিজের কেন্দ্রে আসছেন। তারই প্রস্তুতি হিসাবে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে শনিবার রেয়াপাড়া হাসপাতাল মোড়ের কাছে দলের রাজ্য নেতৃত্ব বৈঠক করেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর দেড়টায় মমতা নন্দীগ্রামের পাশের কেন্দ্র চণ্ডীপুরের বিবেকানন্দ ফুটবল মাঠে জনসভা করবেন। ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। সেই জনসভা শেষে তিনি সরাসরি চলে আসবেন নন্দীগ্রামে। বিকেল চারটে নাগাদ রেয়াপাড়া শিবমন্দিরে দোলমেলায় যাওয়ার কথা মমতার। এই শিবমন্দিরের কাছেই তিনি একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। শনিবার সেই বাড়ি এবং তার পাশের চত্বর সাজানো হয়েছে। রেয়াপাড়ার দোল মেলা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিরুলিয়া বাজারে বিকেল সাড়ে চারটেয় একটি জনসভা করবেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে। এই বিরুলিয়া বাজারেই গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় আহত হয়েছিলেন তিনি। ওই দিন দুপুরে হলদিয়ায় নিজের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নন্দীগ্রামে ফিরে বিভিন্ন মন্দির ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। তার পর সন্ধ্যায় রেয়াপাড়ার অস্থায়ী আস্তানার দিকে যাচ্ছিলেন মমতা। তখনই আহত হন।
তবে মমতা আসার আগের দিন শনিবার গোটা রাজ্যের মতো নন্দীগ্রামেও প্রলয়-কাণ্ডই চর্চায় ছিল। সেই আবহেই তিনি আসছেন নন্দীগ্রামে। যেখানে এ বারের নির্বাচনে মমতার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই দলের এক সময়ের সাংসদ-বিধায়ক-মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে আগামী ১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার নির্বাচন। রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় ওই দিন মোট ৩০ আসনে ভোট হবে। তবে শুধু দ্বিতীয় দফার নয়, গোটা বিধানসভা ভোট-পর্বেই এই নন্দীগ্রাম প্রধান আলোচনা-আগ্রহ-আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। কেবল বাংলায় নয়, গোটা দেশেই।