—ফাইল চিত্র।
সংক্রমণে ইন্ধন জোগাচ্ছে বিয়েবাড়ি। সঙ্গে দোসর বিধানসভা নির্বাচন। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনকে নয়, বরং ওই দুই কারণকেই দায়ী করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
গত ফেব্রুয়ারি থেকেই দেশের অন্তত আটটি থেকে নয়টি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্তারা ভেবেছিলেন, বিদেশ থেকে আসা বা দেশে পাওয়া করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওই সংক্রমণের জন্য দায়ী। কিন্তু আজ সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল বলেন, ‘‘প্রথমে ভাবা হয়েছিল ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন দায়ী। কিন্তু বেশ কিছু রাজ্য সম্প্রতি জানিয়েছে বিয়ের মরসুম ও ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে ভোটের প্রস্তুতি, সমাবেশ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী।’’ পলের দাবি, ‘‘ইতিমধ্যেই ভোটমুখী দুটি রাজ্য জানিয়েছে তাদের রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণই হল নির্বাচন। এ ছাড়া বিয়ের মরসুমে হওয়া জমায়েত থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলেই জানতে পারা গিয়েছে।’’ সূত্রের মতে, যে আটটি রাজ্যে গত এক মাসে সংক্রমণ বেড়েছে তারমধ্যে ভোটমুখী রাজ্য হল কেরল ও তামিলনাড়ু। আজ ভি কে পল দেশবাসীকে অনুরোধ করে বলেন, ‘‘যতটা সম্ভব বিয়েবাড়ি, পার্টি থেকে দূরে থাকুন। যাঁরা এখনও সংক্রমিত হননি, তাদের প্রত্যেকের সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে।’’ রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ কমাতে এক জন সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা অন্তত ১৫-২০ জনের পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক। একমাত্র তবেই সংক্রমণের শৃঙ্খলকে ভাঙা সম্ভব হবে বলে পরামর্শ স্বাস্থ্যকর্তাদের। অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ় নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘‘প্রতিষেধক নেওয়াটা কোনও ব্যক্তির ইচ্ছের উপরে নির্ভর করে। এর জন্য কাউকে জোর দেওয়া যায় না।’’ যদিও স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, অনেকে ভাবছেন প্রতিষেধকের একটি ডোজ়ই যথেষ্ট। কিন্তু আসলে তা নয়। দুটি ডোজ় নিলে তবেই শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার মতো অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।
হরিয়ানায় গত ডিসেম্বর থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস শুরু হয়েছে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে। প্রশাসনের তরফে আজ জানানো হয়েছে, গত কাল করনালের ওই স্কুলের তিন পড়ুয়ার করোনা ধরা পড়ে। তার পরেই অন্যদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। দেখা যায়, ৫৪ জন কোভিড পজ়িটিভ।