—প্রতীকী ছবি।
সকালে বাড়ির সামনে নিজের মতো খেলাধুলো করছিল ছ’বছরের এক শিশু। হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় সে। খেলতে গিয়ে দূরে চলে গিয়েছে ভেবে বাড়ির লোক থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা সকলে এ দিক-ও দিক খোঁজ করতে শুরু করলেন। হঠাৎ গ্রামের আখের খেত থেকে উদ্ধার হল তার মৃতদেহ। ঘটনাটি রবিবার উত্তরপ্রদেশের মিরাটের ধানপুর গ্রামে ঘটেছে। মৃতের নাম পুনীত। খুনের অভিযোগে চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ বাড়ির সামনে খেলছিল ছ’বছরের পুনীত। খেলতে খেলতে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় সে। বহু ক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর আখের খেত থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। পুনীতের বাবা গোপাল যাদব পেশায় পুলিশকর্মী। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থানায় কর্মরত তিনি। পুত্রের নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনে বাড়িতে ছুটে যান গোপাল।
সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, পুনীত নিখোঁজ হওয়ার কিছু ক্ষণ পর গোপালের বাড়িতে একটি চিঠি আসে। সেই চিঠিতে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে যে ছোট্ট পুনীতের প্রাণরক্ষা করা অসম্ভব সে হুমকিও দেওয়া হয় চিঠিতে। পুনীতকে খুঁজতে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়েরাও তল্লাশি শুরু করে। পরে আখের খেত থেকে উদ্ধার করা হয় পুনীতের দেহ।
পুলিশের দাবি, স্থানীয় এক ব্যক্তি পুনীতকে অপহরণ করেছেন বলে সন্দেহ গোপালের। জমি সংক্রান্ত বিবাদের কারণেই পুনীতকে খুন করা হয়েছে বলে গোপালের দাবি। খুনের অভিযোগে দুই মহিলা-সহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে।