এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পথে বসে আন্দোলনে কৃষকরা। ছবি— রয়টার্স।
শেষ পর্যন্ত খাতায় কলমে প্রত্যাহার হতে চলেছে তিন কৃষি আইন। যদিও কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবিতে অধিবেশনের শুরুতেই হই-হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা। বেলা বারোটা পর্যন্ত সংসদের দুই কক্ষেরই অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।
সোমবার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন, সংসদে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করবেন। সোমবারই লোকসভায় বিল প্রত্যাহারের পর তা রাজ্যসভায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রথম দিনের অধিবেশনে হাজির থাকার জন্য বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী কংগ্রেস সাংসদদের প্রতি হুইপ জারি করেছিল। এই অধিবেশনেই আরও একাধিক বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র।
অধিবেশন শুরুর আগে সাংবাদিকদের সামনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকার যে কোনও বিষয়ে বিতর্কে রাজি। আমরা বিরোধীদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরি। আসুন, আমরা স্পিকার ও সংসদের গড়িমা অক্ষুণ্ণ রেখে বিতর্কে যোগ দিই।’’
যদিও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে খণ্ডন করেছে বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে কটাক্ষ করেছেন মোদীকে।
অর্ডিনান্স জারি করে তিনটি কৃষি আইন আনে কেন্দ্র। শুরু থেকেই তার বিরোধিতা করেন কৃষকরা। হরিয়ানা, পঞ্জাব, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা পথে নামেন। যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে তাঁরা দিল্লি রওনা দেন। কিন্তু দিল্লির সীমানায় পুলিশ আটকে দেয় তাঁদের। সেখানেই বসে পড়েন কৃষকরা। এক বছর অতিক্রান্ত, এখনও পথেই বসে কৃষকরা। সম্প্রতি কৃষকদের দাবির কাছে মাথা নত করেছে কেন্দ্র। গুরুপরবের দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, প্রত্যাহার করা হবে তিনটি কৃষি আইন। কৃষকদের মন্তব্য ছিল, প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথায় কিছু হবে না। সংসদে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা পথেই থাকবেন। পাশাপাশি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা-সহ আরও একগুচ্ছ দাবি তুলে ধরেন সরকারের কাছে।
সোমবার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিল লোকসভায় পেশ করবেন। লোকসভার পর তা তোলা হবে রাজ্যসভায়।
২৫ দিনের শীতকালীন অধিবেশনে কৃষি আইন প্রত্যাহার, ক্রিপ্টো বিল-সহ মোট ৩৬টি বিল পাস করাতে চায় সরকার। পেগাসাস ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকারকে ঘিরতে তৈরি বিরোধীরাও।