Murder

ফোন চুরির সময় ধরে ফেললেন কনস্টেবল, ১২ বার কোপাল ছিনতাইকারী, দাঁড়িয়ে দেখলেন পথচারীরা!

পুলিশ সূত্রে খবর, এক মহিলা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীর ফোন চুরি করে নিয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁদের হুমকিও দিয়েছেন। মহিলার অভিযোগ পেয়ে মায়াপুরী এলাকায় পৌঁছন কনস্টেবল শম্ভু দয়াল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩২
Share:

কনস্টেবলকে ছুরির কোপ ছিনতাইকারীর। প্রতীকী ছবি।

ভরা রাস্তায় পুলিশের এক কনস্টেবলকে ছুরি একের পর এক কোপ বসাচ্ছে এক ছিনতাইকারী। আর সেই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখলেন পথচারীরা। বাধা দিতে এগিয়ে এলেন না কেউই। হামলাকারী ঘটনাস্থল ছাড়লে কনস্টেবলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চার দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি দিল্লির মায়াপুরী এলাকার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, এক মহিলা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীর ফোন চুরি করে নিয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁদের হুমকিও দিয়েছেন। মহিলার অভিযোগ পেয়ে মায়াপুরী এলাকায় পৌঁছন কনস্টেবল শম্ভু দয়াল। তখন মহিলা ওই ছিনতাইকারীকে চিহ্নিত করেন। কনস্টেবল শম্ভু আনিস নামে ওই ছিনতাইকারীকে ধরে ফোন ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। পুলিশ এবং ছিনতাইকারীর মধ্যে যখন বচসা চলছিল, সেই সময় আশপাশে ভিড় জমে গিয়েছিল। অভিযোগ, আচমকাই ছিনতাইকারী ছুরি বার করে শম্ভু দয়ালের বুকে, পেটে কোপাতে শুরু করে। এই দৃশ্য দেখে ভয়ে সরে যান আশপাশে ভিড় জমানো মানুষগুলি। ছিনতাইকারী একের পর এক কোপ বসাচ্ছিল যখন, পথচারীরা সেই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। বাধা দিতে এগিয়ে আসেননি কেউই।

পর পর ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন শম্ভু দয়াল। তার পরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় ছিনতাইকারী। তার পিছু ধাওয়া করে স্থানীয়রা ধরে ফেলেন। তার পর পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আনিস পালানোর চেষ্টা করতেই তাঁকে ধরে ফেলেছিলেন কনস্টেবল শম্ভু, বাধা পেয়েই পাল্টা হামলা চালায় সে। গুরুতর জখম অবস্থায় শম্ভু দয়ালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শম্ভু দয়াল রাজস্থানের সীকরের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকতেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং তিন পুত্র-কন্যা রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement