মহিলাকে গণধর্ষণের পর তাঁর মোবাইল এবং টাকার ব্যাগ কেড়ে নিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। প্রতীকী ছবি।
গণধর্ষণের পর মহিলার ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। তার পর থেকেই ফোন বন্ধ করে রেখেছিলেন। গত ৬ মাস ধরে দুই অভিযুক্তের খোঁজে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই নাগালে আসছিল না। শেষমেশ মহিলার সেই ফোনই ধরিয়ে দিল এক অভিযুক্তকে। অন্য জন পলাতক।
২০২২-এর ২১ জুলাই নয়ডা ফেজ-২তে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল যশবন্ত কুমার নামে এক ব্যক্তি এবং তাঁর শ্যালক অভয় প্রতাপের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তেরা তার পর মহিলার ফোন এবং টাকার ব্যাগ কেড়ে নেন। সেই ঘটনার পর থেকে যশবন্ত এবং অভয় দু’জনেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তাঁদের নাগাল পাচ্ছিল না পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ ফেজ-২ এবং তার আশপাশের এলাকার ৩০০টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। এলাকার ১৫০টি কারখানার প্রায় ১ হাজার কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু কিছুতেই কোনও সূত্র মিলছিল না। পুলিশের নজরদারি থেকে এড়াতে অভিযুক্তেরা মহিলার ফোন বন্ধ করে রেখেছিলেন। শুধু তাই-ই নয়, নিজেরাও ফোন ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
অভিযুক্তদের ভুলের অপেক্ষায় পুলিশও তক্কে তক্কে ছিল। ঠিক ৬ মাস পর অভিযুক্তরা মহিলার ফোন চালু করেন। সেটাই পুলিশের কাজ সহজ করে দেয়। নয়ডার সেক্টর ৮৮-এর ফুলমান্ডি এলাকায় ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে পুলিশ। তার পরই সেখানে অভিযান চালায়। অভিযুক্ত যশবন্ত এবং অভয় ওই এলাকায় একটা চায়ের দোকান চালাচ্ছিলেন। ফোনের সূত্রে ধরে ওই দোকানে হানা দিয়ে যশবন্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভয় পলাতক।