—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দিল্লিতে দেশের পরীক্ষা আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-র দফতরে ভাঙচুর চালাল কংগ্রেসের ছাত্র শাখা ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া। ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা নিট নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের মাঝেই এনটিএ-র দফতরে চড়াও হলেন কংগ্রেসের ছাত্র শাখার অন্তত ১০০ জন সদস্য।
ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। (আনন্দবাজার অনলাইন ওই ভিডিয়ো যাচাই করেনি)। তাতে দেখা গিয়েছে, এনএসইউআইয়ের সদস্যেরা চড়াও হয়েছেন এনটিএ-র দফতরে। কয়েক জন দফতরে প্রবেশ করে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। বাকিরা বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ।
৫ মে হয়েছিল নিট। পরীক্ষা দেন ২৪ লক্ষ পড়ুয়া। জুন মাসে ফলাফল ঘোষণা হয়। তার পরেই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। দেখা যায়, ৬৭ জন পড়ুয়া মোট নম্বর ৭২০-তে ৭২০ পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছ’জন আবার একই কোচিং সেন্টারের। পরীক্ষার আয়োজন করেছিল এনটিএ। ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে সময়জনিত সমস্যার কারণে বাড়তি নম্বর (গ্রেস মার্ক) দেওয়া হয়। কেন দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন ওঠে। তার জন্য আঙুল ওঠে এনটিএ-র দিকে। নিট দুর্নীতিকাণ্ডে বিহার, মহারাষ্ট্র, দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। তার পর প্রথম গ্রেফতারি হয়েছে বৃহস্পতিবার। ধৃতেরা হলেন, মণীশ কুমার এবং আশুতোষ কুমার। সিবিআই সূত্রে খবর, মণীশ কুমার নিজের গাড়িতে করে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যেতেন। তার পর তাঁদের জন্য ঘরের ব্যবস্থাও করতেন। আর এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতেন আশুতোষ। এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার রাজ্যের পুলিশের হাতে ২৬ জনকে গ্রেফতার হয়েছেন। তার মধ্যে বিহার থেকে ১৩, ঝাড়খণ্ডে ছয়, গুজরাতে পাঁচ এবং মহারাষ্ট্রে দু’ জন গ্রেফতার হয়েছেন।