কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন গুলাম নবি। ফাইল চিত্র।
রাহুল গাঁধীকে বিঁধে কংগ্রেসের ‘হাত’ ছাড়লেন বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ। কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে পদত্যাগপত্রে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গুলাম। লিখেছেন, ‘দেশের জন্য যা ভাল, তা করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস।’
পাঁচ পাতার পদত্যাগপত্রে গুলাম নবি লিখেছেন, ‘গোটা সাংগঠনিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াই একটা প্রহসন। দেশের কোথাও সংগঠনের কোনও পর্যায়ের নির্বাচনই হয়নি।’ এর পরই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধীকে নিশানা করে বর্ষীয়ান নেতা লিখেছেন, ‘এই সব ঘটেছে, তার কারণ, গত আট বছরে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনি এক জন ‘অপরিণত’ ব্যক্তিত্ব।’ এমনকি, বিভিন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির জন্যও রাহুলকেই কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছেন গুলাম।
রাহুলকে নিশানা করে গুলাম লিখেছেন, ‘অপরিণত হওয়ার সবচেয়ে জ্বলন্ত উদাহরণগুলির মধ্যে একটি হল, সংবাদমাধ্যমের সামনে রাহুল গাঁধীর হাতে সরকারি অধ্যাদেশ ছেঁড়া...। এই ধরনের শিশুসুলভ আচরণ প্রধানমন্ত্রী ও ভারত সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। ২০১৪ সালে নির্বাচনে ইউপিএ সরকারের পরাজয়ের নেপথ্যে যে অবদানগুলি রয়েছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম।’
কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের কথা যেমন পদত্যাগপত্রে তুলে ধরেছেন গুলাম নবি, তেমনই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে ‘নিবিড় সম্পর্কের’ প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন।
কয়েক দিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রচার কমিটি এবং রাজনৈতিক বিষয়ক প্যানেল থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন গুলাম নবি। ২০২০ সালের অগস্টে যে ২৩ জন নেতা সনিয়াকে চিঠি দিয়ে দলীয় নির্বাচন এবং স্থায়ী সভাপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন আজাদ।
সম্প্রতি কংগ্রেসের ‘বিক্ষুব্ধ’ গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত আনন্দ শর্মা হিমাচল প্রদেশের ‘পর্যবেক্ষক কমিটি’র প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন। সামনেই হিমাচলে নির্বাচন। তার আগে আনন্দের ইস্তফা ঘিরে কংগ্রেস শিবিরে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। সেই ঘটনাপ্রবাহের পর গুলাম নবি যে ভাবে কংগ্রেস ছাড়লেন, তাতে কংগ্রেসের অন্দরে অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।