রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের সম্ভাবনা নিয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। সঙ্কটে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এবং কংগ্রেসের জোট সরকার। এই প্রেক্ষিতে তাদের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। হেমন্তের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দাবিদার হিসাবে যে নাম জোরদার ভাবে উঠে এসেছে, তিনি কল্পনা সোরেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান শিবু সোরেনের পুত্রবধূ এবং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রীই হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুরোদস্তুর রাজনৈতিক পরিবারের বধূ হলেও নিজে রাজনীতি থেকে শত হস্তে দূরে থাকেন কল্পনা। ঠিক যেমনটা ছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদের স্ত্রী রাবড়ি দেবী। তবে অমিল হল, রাবড়ি ছিলেন গৃহবধূ। আর আদ্যোপান্ত ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে কল্পনা নিজেও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কোনও রাজনৈতিক সভায় তাঁকে দেখা যায় না। তবে নারীদের ক্ষমতায়ন এবং শিক্ষা নিয়ে নিয়মিত আলোচনা সভায় তিনি উপস্থিত থাকেন। নিজে একটি স্কুলও চালান কল্পনা। ১৯৯৭ সালে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন লালু। মুখ্যমন্ত্রী হন রাবড়ি। বস্তুত, বিহারের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তিনিই।
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জে জন্ম কল্পনার। পড়াশোনা রাঁচিতে। স্নাতক পাশের পর ব্যবসা শুরু করেন। ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি হেমন্তের সঙ্গে বিয়ে হয় কল্পনার। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। হেমন্ত-ঘনিষ্ঠরা মনে করছেন, নিজে রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ার মতো ক্ষমতা কল্পনার আছে।
‘অফিস অব প্রফিট’-এর অভিযোগ উঠেছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। খনি দফতর মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে। সেখানে হেমন্ত নিজের নামেই একটি খনির লিজ পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রঘুবর দাসের আবার অভিযোগ, স্ত্রীকে ব্যবসায় অনৈতিক ভাবে সুযোগ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত। প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীর ব্যবসার জন্য একটি জমি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও সোরেনের দল এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহারাষ্ট্রের মতো ঝাড়খণ্ডে প্রতিহিংসা মূলক রাজনীতি করে নির্বাচিত সরকারকে ফেলার অপচেষ্টা করছে বিজেপি।