ফাইল ছবি
উত্তরপ্রদেশের রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। এআইসিসি-তে উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রিয়ঙ্কার মতে, চার মাস আগের বিধানসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন সংগঠন মজবুত করার দিকে নজর দেওয়া দরকার। রাজ্যে কংগ্রেসের অন্দরমহলে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে, যদি সংগঠন মজবুত করাই লক্ষ্য হয়, তা হলে গত তিন মাস ধরে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে কেন!
উত্তরপ্রদেশের গত বিধানসভা ভোটে ৪০৩টি আসনের মধ্যে ৩৯৯টি-তে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। তবে মাত্র দু’জন কংগ্রেস প্রার্থী জিতেছেন। ৩৮৭টি আসনেই কংগ্রেসের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মার্চের গোড়ায় ফল প্রকাশের পরেই কংগ্রেস হাই কমান্ডের নির্দেশে অজয়কুমার লাল্লু প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। তারপরে তিন মাস কাটতে চললেও নতুন সভাপতি নিযুক্ত করা হয়নি। কংগ্রেসের নেতাদের প্রশ্ন, যদি সংগঠনের হাল ফেরানোই লক্ষ্য হয়, তা হলে গত তিন মাসে প্রিয়ঙ্কা কেন মাত্র এক বার লখনউয়ে গিয়েছেন! তা-ও মাত্র এক দিনের জন্য!
২৩ জুন উত্তরপ্রদেশের রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ২০১৯-এ এই দু’টি আসনই এসপি জিতেছিল। আজমগড় থেকে অখিলেশ যাদব, রামপুর থেকে আজ়ম খান জিতেছিলেন। দু’জনেই এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে লোকসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এবার আজমগড় থেকে অখিলেশের খুড়তুতো ভাই ধর্মেন্দ্র যাদব ও রামপুর থেকে আজ়ম খানের ঘনিষ্ঠ আসিম রাজা প্রার্থী হচ্ছেন।
২০১৯-এ কংগ্রেস রামপুরে প্রার্থী দিলেও অখিলেশের আসন আজমগড়ে প্রার্থী দেয়নি। আজ কংগ্রেস ঘোষণা করেছে, এ বার দল কোনও আসনেই প্রার্থী দেবে না। প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি যোগেশ দীক্ষিতের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচনের ফল দেখার পরে এখন জরুরি হল, রাজ্যে কংগ্রেসের নিজের সংগঠনকে সাজানো। যাতে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নিজেকে শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে পারে।
কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, বাস্তব পরিস্থিতি উল্টো। তিন মাস সভাপতির পদ খালি পড়ে থাকায় উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসে এখন দিশাহীন অবস্থা। গত বুধবার প্রিয়ঙ্কা উদয়পুরের চিন্তন শিবিরের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের নেতাদের সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার খবর পেয়ে সেই দিনই তাঁকে ফিরে আসতে হয়। প্রিয়ঙ্কার সফরের পরে নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম ঘোষণা হবে বলে মনে করা হলেও তা হয়নি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, জাতপাতের সমীকরণ, তরুণ না প্রবীণ— এ সব নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে গিয়েই সময় চলে যাচ্ছে। প্রবীণদের মধ্যে পি এল পুনিয়া, প্রমোদ তিওয়ারির নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। দলের বিধায়ক, ওবিসি নেতা বীরেন্দ্র চৌধরির নামও আলোচনায় রয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত কবে হবে, তার জবাব মিলছে না।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।