রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে (বাঁ দিক থেকে)। ছবি— মল্লিকার্জুন খড়্গের টুইটার।
‘ভাল’ এবং ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকের ফলাফল দেশের জন্য ‘মঙ্গলদায়ক’ হবে। অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়ে বলে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতার সেই মন্তব্য সরাসরি টুইট করল কংগ্রেস। বেঙ্গালুরুতে দু’দিন ব্যাপী বিরোধী মহাজোটের বৈঠকের শেষে উঠে এল এমনই খণ্ডচিত্র। বৈঠক শেষে মোদী সরকারের দিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন আপের রাষ্ট্রীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়ালও।
বিভেদ ভুলে একমঞ্চে এসেছেন ২৬টি বিজেপি বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। সকলেরই লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। দু’দিনের বৈঠক শেষে সেই ঐক্যের ছবি ফুটে উঠল সমাজমাধ্যমে। কংগ্রেসের নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডল থেকে একের পর এক টুইট করা হতে লাগল সমমনস্ক দলের নেতানেত্রীদের বক্তব্য। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, সেই টুইটার ফিডে জ্বলজ্বল করছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর নাতিদীর্ঘ বক্তব্যও। যেখানে তিনি বললেন, ‘‘ভাল এবং ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। এর ফলাফল দেশের জন্য মঙ্গলদায়ক হবে।’’
কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডলে স্থান পেয়েছেন সদ্য অধ্যাদেশ নিয়ে কংগ্রেসের সবুজ সঙ্কেত পাওয়া আপের প্রধান কেজরীওয়ালও। যেখানে কেজরীওয়াল তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন কেন্দ্রের মোদী সরকারের দিকে। কটাক্ষের সুরে কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী ১০ বছরের জন্য দেশ শাসনের ভার পেয়ে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রের সর্বনাশ করে ছেড়েছেন।’’ তার পরেই কেজরীওয়ালের সংযোজন, ‘‘তিনি (নরেন্দ্র মোদী) দেশের মানুষের মধ্যে ঘৃণার বাতাবরণ তৈরি করেছেন। অর্থনীতি গোল্লায় গিয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি চরম সীমায়, প্রতিটি ক্ষেত্র কর্মসংস্থানের অভাবে ধুঁকছে। এ বার ভারতের জনগণের কাছে সময় এসেছে হেস্তনেস্ত করার। এ জন্যই সমমনস্ক দলগুলি একসঙ্গে এসেছে।’’
বেঙ্গালুরুর দু’দিনের বৈঠকের শুরুতে যে ঐক্যবদ্ধ জোটের ছবি ফুটে উঠেছিল, বৈঠক শেষেও তারই প্রতিধ্বনি। এ দিনের বৈঠকে সনিয়া এবং রাহুলের মাঝে বসেছিলেন মমতা। কংগ্রেস বৈঠকের যে ছবি টুইট করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বৈঠকের মধ্যেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন সনিয়া এবং মমতা। শরদ পওয়ারের সঙ্গেও দেখা হয় তৃণমূল নেত্রীর। দু’জনকে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা বলতে দেখা যায়।