ছবি: সংগৃহীত
নরেন্দ্র মোদী সরকারের কৃষি নীতির বিরুদ্ধে বামেদের সঙ্গেই পথে নেমে প্রতিবাদ জানাতে চলেছে কংগ্রেস। রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর থেকে বাম ও কংগ্রেসের যৌথ কর্মসূচিতে যে ছেদ পড়েছিল, তা আবার শুরু হতে চলেছে কৃষক বিক্ষোভের হাত ধরেই। নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে অধীর চৌধুরীও জেলা ও ব্লক স্তর পর্যন্ত যৌথ কর্মসূচি নেওয়ার জন্য দলকে নির্দেশ দিয়েছেন। কৃষক-প্রশ্নে সেইমতোই পদক্ষেপ করছে প্রদেশ কংগ্রেস।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি অধ্যাদেশ, যা সংসদের চলতি অধিবেশনে বিল এনে পাশ করানো হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে সারা ভারত কিষাণ সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ ওই সমন্বয় কমিটি সে দিন বাংলায় রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য শনিবার বিষয়টি নিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে কথা বলেছেন। বিমানবাবুকে তিনি বলেছেন, বিভিন্ন রাজ্যে কৃষক আন্দোলন বড় চেহারা নিচ্ছে। বাংলাতেও এই বিষয়ে বাম ও কংগ্রেসের একত্রে প্রতিবাদ দরকার। তাঁর সঙ্গে একমত বিমানবাবুও। আলোচনায় ঠিক হয়েছে, ২৫ তারিখের বিক্ষোভে কোথায় কী ভাবে অংশগ্রহণ করা হবে, সে বিষয়ে কংগ্রেসের সংশ্লিষ্ট নেতৃত্ব বাম কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ভগৎ সিংহের জন্মদিনেও কর্পোরেটের হাতে দেশকে তুলে দেওয়ার নীতির প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে সমন্বয় কমিটি।
তিনটি কৃষি সংক্রান্ত অধ্যাদেশ তথা বিলের পাশাপাশি বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল এবং পেট্রল, ডিজেলের দামবৃদ্ধিরও প্রতিবাদ করছে কৃষক সংগঠনগুলি। প্রদীপবাবু এ দিন বলেন, ‘‘কৃষি-সহ কোনও ক্ষেত্রই এই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে নিরাপদ নয়। কৃষকদের সর্বাত্মক প্রতিবাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে আরও শক্তিশালী করা দরকার।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরও বক্তব্য, ‘‘রাজ্য জুড়ে ২৫ তারিখ প্রতিবাদ হবে। গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ সব শক্তিকে একজোট হয়েই সর্বনাশের নীতিকে প্রতিহত করতে হবে।’’