কারনালে বাসের উপর জামা খোলা অবস্থায় কংগ্রেস কর্মীরা। — নিজস্ব চিত্র।
হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় জবুথবু মধ্যপ্রদেশ। এর মধ্যেই সেখানকার কারনাল এলাকায় চলছে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা। সেই কর্মসূচিতে দেখা গেল কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই জামা খুলে বাসের মাথায় উঠে নাচছেন কংগ্রেস সমর্থকরা। কেউ কেউ শুরু করেছেন ওঠবসও। সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল কেবলমাত্র একটি টি-শার্ট এবং জিন্স সম্বল করেই ঠান্ডার মধ্যে দিল্লি চষে বেড়াচ্ছেন রাহুল গান্ধী। এ বার দলীয় নেতাকে ছাপিয়ে গেলেন সমর্থকরা।
কারনালে রবিবার তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেই সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশার চাদর। এই পরিস্থিতিতে গরম পোশাকে নিজেকে মুড়ে নিয়েই বাইরে বেরোচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রাতেও দেখা গিয়েছে সেই ছবি। কিন্তু ব্যতিক্রম জনা ১০-১৫ কংগ্রেস সমর্থক। তাঁদের দেখা গিয়েছে, এই কনকনে ঠান্ডায় জামা খুলে খালি গায়ে বাসের মাথায় উঠে নাচতে। দিল্লির ভয়ঙ্কর শীতে রাহুলকে দেখা গিয়েছিল সাধারণ পোশাকে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় যোগ দিতে। সাংবাদিকরা রাহুলকে প্রশ্ন করেন, তাঁর ঠান্ডা লাগছে না? পরে রাহুল উত্তর দেন, ‘‘ওঁরা আমায় জিজ্ঞাসা করেন, কেন আমার ঠান্ডা লাগছে না। ওঁরা কৃষক, শ্রমিক, গরিব বাচ্চাদের তো এই প্রশ্ন করেন না!’’ বিজ্ঞান অবশ্য বলছে, প্রচণ্ড ঠান্ডাতেও যেমন অনেকের শীত করে না, তেমনই প্রবল গরমেও অনেকে আবার অস্বস্তি বোধ করেন না। জিনগত কারণেই এমন হয়ে থাকে বলে ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীদের।
২০০২ সালে লর্ডসে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল ম্যাচ জিতে জার্সি খুলে মাথার উপর ঘুরিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন ক্রিকেট ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। আবার জামা খুলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার ছবি নতুন নয়। সেই দৃশ্যও দেখেছে এই রাজ্য। ২০১৫ সালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে একটি বিক্ষোভে দেখা গিয়েছিল জামা খুলে স্যান্ডো গেঞ্জি গায়ে বুক চিতিয়ে, পেশি ফুলিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। যে ছবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। কারনালে অবশ্য ‘আস্ফালন’ নয়, কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে দেখা গিয়েছে উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।