হাথরসে মৃতদের পাশে রাহুল। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্মীয় উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের কয়েক জন পরিজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। জানালেন, বিষয়টি নিয়ে লোকসভায় সরব হবেন তিনি। হাথরসে না গিয়ে দিল্লিতে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করেছিল কংগ্রেস। তার পরে রাহুলের এই সফর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
রাহুল শুক্রবার সকালে প্রথম আলিগড়ের নভিপুর খুর্দ এবং পিলাখনা গ্রামে যান। পদপিষ্ট হয়ে মৃত শান্তি দেবী ও মঞ্জু দেবীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এর পরে হাথরসের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। মৃতদের পরিবারের সদস্যেরা পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাহুল তাঁদের আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অন্য দিকে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বিষয়টি আমি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাই না। তবে প্রশাসনের তরফে ঘাটতি রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। ওই দরিদ্র পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আন্তরিক ভাবে অনুরোধ করছি।’’
মঙ্গলবার হাথরসের মুগলগঢ়িতে একটি ‘সৎসঙ্গে’র ডাক দিয়েছিলেন ধর্মগুরু ‘ভোলে বাবা’। খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে ‘সৎসঙ্গ’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষেই ঘটে যায় বিপত্তি। হাথরসের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ-প্রশাসন ভিড় নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি। সে কারণেই এই দুর্ঘটনা। হাথরসকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ছ’জন গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা সকলেই ‘সৎসঙ্গের সেবাদার’ ছিলেন। তবে মূল অভিযুক্ত ‘গুরুর মুখ্য সেবাদার’ দেবপ্রকাশ মধুকরের এখনও খোঁজ মেলেনি।