ফাইল চিত্র।
সংসদের সামনে আলোচনায় মগ্ন আহমেদ পটেল, হরিয়ানার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা ও হরিয়ানার ভারপ্রাপ্ত নেতা গুলাম নবি আজাদ। দেখে মনে হচ্ছে, হরিনায়ার টিকিট বিলি ও কংগ্রেস কত আসন পেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা। পটেল হিসেব করে প্রশ্ন করছেন, তা হলে ১৪টা দাঁড়াল। পার্টি গেল কোথায়?
‘ভাইরাল’ হয়ে যাওয়া এই ভিডিয়ো দেখার পরে বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা নিজেরাই মেনে নিচ্ছেন, হরিয়ানার ৯০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস মাত্র ১৪টি আসন পেতে চলেছে।
কংগ্রেস নেতারা বাস্তবিক এই নিয়ে আলোচনা করছিলেন কি না, জানা যায়নি। কিন্তু দুই ভোটমুখী রাজ্য মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় কংগ্রেসের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন। হরিয়ানার টিকিট বিলি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি অশোক তানওয়ার আজ দলের সমস্ত পদ থেতে পদত্যাগ করেন। মুম্বইয়ের নেতা সঞ্জয় নিরুপম জানিয়েছেন, তিনি দলের হয়ে প্রচার করবেন না।
গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সনিয়ার লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলীর বিধায়ক অদিতি সিংহ দলীয় নির্দেশ অমান্য করে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি ২ অক্টোবর প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার পদযাত্রায় অংশ নেননি। কংগ্রেস বয়কট করা উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। এরপরে আজ যোগী সরকার পুরনো কংগ্রেস নেতা অখিলেশ সিংহর কন্যা অদিতিতে ওয়াই-ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবারই গাঁধীর দেড়শোতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সনিয়া-রাহুল গাঁধী গোটা কংগ্রেসকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। তার পরের দিনই দলের মধ্যে একের পর এক নেতার বিদ্রোহ ও ভাঙনের আশঙ্কায় ফের কংগ্রেস শিবির অস্বস্তিতে।
হরিয়ানায় টিকিট বিলি নিয়ে রাহুল-ব্রিগেডের তরুণ নেতা অশোক তানওয়ার ক্ষুব্ধ ছিলেনই। বুধবার তিনি সনিয়া গাঁধীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁর অভিযোগ, যাঁরা দলের জন্য ঘাম-রক্ত ঝরিয়েছেন, তাঁদের প্রার্থী করা হয়নি। আজ তিনি সনিয়াকে চিঠি লিখে সমস্ত নির্বাচনী কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
মুম্বইয়ের কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম জানিয়েছেন, তিনি দলের হয়ে প্রচারে না নামার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। নিরুপম বলেন, ‘‘আশা করি, পার্টিকে গুড বাই বলার সময় এখনও আসেনি। কিন্তু আমার সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বর আচরণে মনে হচ্ছে, সে দিনও দূর নয়।’’
অদিতি সিংহ বিজেপিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। প্রিয়ঙ্কা রায়বরেলী-অমেঠীতে গেলে অদিতি ছিলেন তাঁর ছায়াসঙ্গী। কিন্তু তিনি লখনউয়ে বুধবার প্রিয়ঙ্কার পদযাত্রায় না গিয়ে বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দেন।