—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি করছে বিজেপি। কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার এমনটাই অভিযোগ করল কংগ্রেস। সম্প্রতি কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা এআইসিসি, দলের যুব সংগঠন ভারতীয় যুব কংগ্রেস এবং ছাত্র সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস অফ ইন্ডিয়া (এনএসওআই)-র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আয়কর বাবদ ৬৫.৮৯ কোটি টাকা কেটে নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কংগ্রেস নেতা তথা দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বলেন, “তারা (বিজেপি) আমাদের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি করছে।”
তার পরই কংগ্রেস জমানার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বেণুগোপাল বলেন, “আমরাও এই দেশে শাসন করেছি। কিন্তু বিজেপি এই ধরনের একটা উদাহরণও দেখাতে পারবে না, যেখানে ইউপিএ জমানায় তাদের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল।” আয়কর বাবদ টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়টিকে গণতান্ত্রিক আদর্শ এবং মূল্যবোধের উপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেন বেণুগোপাল। পাশাপাশি দাবি করেন যে, রাজনৈতিক দল হিসাবে কখনও আয়কর দেয় না বিজেপি। বেণুগোপালের অভিযোগ, আয়করের নাম করে দলীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে বিজেপি। দলের সাধারণ কর্মীরাই ওই টাকা দিয়েছেন বলেও জানান এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০২৩ সালের মার্চের শেষে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল ১৬২ কোটি টাকা। পাশাপাশি বিজেপির অ্যাকাউন্টে ছিল ৫,৪২৫ কোটি টাকা। কিন্তু বিজেপির থেকে কোনও আয়কর কাটা হয়নি। বুধবার আপিল ট্রাইবুনালে শুনানি চলাকালীনই ব্যাঙ্কগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে কংগ্রেসের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৫ কোটি টাকা জরিমানা কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন।
অজয়ের প্রশ্ন— ‘‘আমরা জানতে চাই, রাজনৈতিক দল হিসাবে বিজেপি কি কোনও আয়কর দেয়? যদি না দেয়, তা হলে আমাদের কাছে কেন ২১০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করা হচ্ছে?’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে অজয় অভিযোগ করেছিলেন, যুব কংগ্রেস-সহ শাখা সংগঠনগুলির কাছে আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে ২১০ কোটি টাকা জরিমানার দাবি জানানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে। বিষয়টি আয়কর ‘অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল’-এর বিচারাধীন। এর মধ্যেই বেআইনি ভাবে পদক্ষেপ করে আয়কর দফতর দলের চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করে।