Condom

দেশে কন্ডোমের বিক্রি বেড়েছে করোনা অতিমারিতে, দেদার বিকিয়েছে গর্ভনিরোধক বড়িও

করোনা অতিমারি পর্বে দেশে কন্ডোমের বিক্রি বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে গর্ভনিরোধক বড়ির ব্যবহারও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩১
Share:

করোনা অতিমারির সময় দেশে কন্ডোমের বিক্রির হার বেড়েছে বলে দাবি। প্রতীকী ছবি।

করোনা অতিমারি এবং লকডাউনের সময় দেশে কন্ডোমের বিক্রি বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক রিপোর্টে এমন তথ্যই পাওয়া গিয়েছে। কন্ডোমের পাশাপাশি ওই সময় দেশে গর্ভনিরোধক বড়ির বিক্রিও বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে পুরুষ এবং মহিলার নির্বীজকরণের হার।

Advertisement

‘হেলথ ম্যানেজমেন্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম’-এর (এইচএমআইএস) রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় ২০২১-২২ সালে নির্বীজকরণের হার কমেছে ২৫ শতাংশ। দ্বিগুণ হারে ব্যবহৃত হয়েছে গর্ভনিরোধক বড়ি। অতিমারি সত্ত্বেও ২০২০-২১ সালের তুলনায় ২০২১-২২ সালে কন্ডোমের বিক্রি বেড়েছে ৭.২ শতাংশ।

দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কন্ডোম বিক্রি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। এর পরে রয়েছে রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ। এছাড়াও গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কর্নাটক, ঝাড়খণ্ডেও কন্ডোম বিক্রি বেশি হয়েছে। ২০২০-২১ সালে ৩১.৪৫ কোটি কন্ডোম বিক্রি করা হয়েছিল। ২০২১-২২ সালে এই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৩৩.৭০ কোটি। তবে লকডাউনের আগে দেশে সবচেয়ে বেশি কন্ডোম বিক্রি হয়েছিল। ২০১৮-১৯ সালে কন্ডোম বিক্রি হয়েছিল ৩৪.৪৪ কোটি।

Advertisement

লকডাউনের সময় কন্ডোমের বিক্রি যেমন বেড়েছে, তেমনই ‘ছায়া পিল’ (গর্ভনিরোধক বড়ি)-এর ব্যবহারও বেড়েছে অধিকাংশ রাজ্যে। ২০২০-২১ সালের তুলনায় ২০২১-২২ সালে মহিলাদের গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়ার (ওরাল কন্ট্রাসেপ্টিভ পিলস বা সিওসি) হার বেড়েছে ৮.৭ শতাংশ। ২০২০-২১ সালে ৫৭.১ লক্ষ ‘ছায়া’ গর্ভনিরোধক বড়ি বিক্রি হয়েছে। ২০২১-২২ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৬.৫ লক্ষ। লকডাউন পরিস্থিতির আগে ২০১৮-১৯ সালে এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ১৪.১ লক্ষ। ‘ছায়া’ গর্ভনিরোধক বড়ির চাহিদা সবচেয়ে বেশি উত্তরপ্রদেশে। তার পরই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান।

রিপোর্টে প্রকাশ, অতিমারির সময় নির্বীজকরণের হার কমেছে। ২০১৯-২০ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৩৩.৫২ লক্ষ। ২০২০-২১ সালে এই সংখ্যাটা কমে হয়েছে ২৬.৯৭ লক্ষ। ২০২১-২২ সালে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পুরুষের নির্বীজকরণ করা হয়েছে। সেখানে নির্বীজকরণের সংখ্যা ৭ হাজার ৪১৪। এর পরে রয়েছে ছত্তীসগঢ় (৪৪৬৯), উত্তরপ্রদেশ (২৯০৩), মধ্যপ্রদেশ (২৮৯৭)। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘২০২০-২১, ২০২১-২২ সালে অতিমারির সময় পরিবারের পরিকল্পনা নেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement