গুজরাতে আবার প্রশ্নফাঁস, বাতিল চাকরির পরীক্ষা। — প্রতীকী ছবি।
জুনিয়র করণিক নিয়োগের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেল গুজরাতে। বরোদায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। এই নিয়ে পর পর তিন বার বাতিল হয়ে গেল এই সরকারি চাকরির পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় বসার কথা ছিল মোট সাড়ে ৯ লক্ষ চাকুরিপ্রার্থীর। শূন্যপদের সংখ্যা ১,১৮১। রাজ্য জুড়ে মোট ২৯৯৫টি কেন্দ্রে রবিবার পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
বার বার তিন বার! এ নিয়ে পর পর তিন বার বাতিল হয়ে গেল গুজরাতের জুনিয়র করণিক নিয়োগের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। প্রতি বারই অভিযোগ প্রশ্নপত্র ফাঁসের এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গুজরাত সরকারের ‘পঞ্চায়েত সার্ভিস সিলেকশন বোর্ড’ জানিয়েছে, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র-সহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পরেই পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয় বোর্ড।
জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ বরোদা থেকে একজনকে গ্রেফতার করে। তাঁর কাছে উদ্ধার হয় একটি ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র। তার পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃতীয় বার বাতিল করে দেওয়া হয় সরকারি চাকরির পরীক্ষা। যা নিয়ে গুজরাতের বিজেপি সরকারের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপের প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘গুজরাতে প্রায় প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেন ফাঁস হয়ে যায়? কোটি কোটি তরুণের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’’
পঞ্চায়েত বোর্ড আগামী দিনে পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ করবে। দিনক্ষণ জানানো হবে চাকুরিপ্রার্থীদের। যদিও গুজরাতে যে ভাবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার রেওয়াজ তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগে সাধারণ মানুষ। সরকারি চাকরির পরীক্ষায় হামেশাই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ প্রক্রিয়াকেও কোনও ভাবেই সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখতে পারছেন না তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ তথা যুব সম্প্রদায়ের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিল রবিবারের প্রশ্নফাঁস।