প্রতীকী ছবি।
অনলাইন ক্লাস চলাকালীন সেই লিঙ্কে ঢুকে পড়েছিলেন বহিরাগত দুই ছাত্র। মজাচ্ছলে অনলাইনেই চালিয়ে দেন পর্নোগ্রাফি। শুধু তাই-ই নয়, যৌনাঙ্গ দেখানোরও অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তদের এক জন হলেন অনিকেত সিংহ রাজপুত। ভোপালের মহাঋষি পতঞ্জলি কলোনির বাসিন্দা। তিনি বিবিএ-র ছাত্র। অন্য অভিযুক্ত হলেন, গাঁধীনগর এলাকার আদিত্য সিংহ। তিনি নিট পরীক্ষার্থী।
মধ্যপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি যোগেশ দেশমুখ জানান, কয়েক দিন ধরেই তাঁদের কাছে অভিযোগ আসছিল বিভিন্ন কলেজ বা স্কুলের অনলাইন ক্লাসের সময় বহিরাগতরা ঢুকে পড়ছে এবং নানা রকম অশ্লীল ছবি বা ভিডিয়ো শেয়ার করছেন। কয়েক দিন আগেই কেরিয়ার কলেজ থেকে অভিযোগ আসে।
এক অধ্যাপিকা অনলাইনে পরীক্ষা নিচ্ছিলেন। সেই সময় ওই লিঙ্কে অনিকেত এবং আদিত্য নামে ওই দুই বহিরাগত ঢুকে পড়েন। তাঁরা পর্নোগ্রাফি এবং যৌনাঙ্গ দেখান বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে সেই লিঙ্ক বিচ্ছিন্ন করে দেন অধ্যাপিকা।
কলেজ থেকে অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তদের ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। কোনও ভাবেই কোনও সূত্র মিলছিল না। কারণ যে সিম ব্যবহার করে অভিযুক্তরা অনলাইন ক্লাসে ঢুকেছিল, তা ব্যবহার করার পরই নষ্ট করে দেওয়া হয়। তবে ওই ক্লাস চলাকালীন অধ্যাপিকা স্ক্রিনশট নেন। সেই স্ক্রিনশট সাইবার বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখেন। ভিডিয়োটি কোথা থেকে করা হচ্ছে তার ব্যাকগ্রাউন্ড ধরে জায়গাটি চিহ্নিত করেন তাঁরা। তার পরই সেখানে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে এক অভিযুক্ত অনিকেতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাঁকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, আদিত্যকে অনলাইন ক্লাসের লিঙ্ক শেয়ার করেছিলেন অনিকেত। তার পরই তাঁরা ক্লাস চলাকালীন পর্নোগ্রাফি ছবি শেয়ার করেন। অনিকেতকে গ্রেফতার করলেও আদিত্যর হদিস পায়নি পুলিশ।