গুজরাতের সেই স্কুল। ছবি: সংগৃহীত।
দোতলায় ক্লাসরুমে বেঞ্চে বসে টিফিন খেতে ব্যস্ত ছিল খুদে পড়ুয়ারা। কেউ কেউ আবার খেতে খেতে নিজেদের মধ্যে গল্পও করছিল। আচমকাই ক্লাসরুমের এক দিকের দেওয়াল ধসে যায়। ওই দিকের দেওয়াল ঘেঁষে যে সব পড়ুয়ারা বেঞ্চে বসে টিফিন খাচ্ছিল, তারা বেঞ্চ, টেবিলসমেত দোতলা থেকে নীচে আছড়ে পড়ে। বাকি পড়ুয়ারা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়।
ভয়ঙ্কর এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।) ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পড়ুয়ারা নিজেদের মধ্যে ব্যস্ত। আচমকাই দেওয়াল ধসে যায়। দেওয়ালের ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক জন পড়ুয়া নীচে ছিটকে পড়ে। এই ঘটনা দেখে বাকিরা আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয়। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি গুজরাতের বরোদীর একটি বেসরকারি স্কুলের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। স্কুলের অধ্যক্ষ রুপল শাহ বলেন, “হঠাৎই জোর একটা আওয়াজ শুনতে পেয়ে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি দোতলার একটি ক্লাসঘরের দেওয়াল ধসে গিয়েছে। এক পড়ুয়ার মাথায় আঘাত লেগেছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।” তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, ছয় পড়ুয়া আহত হয়েছে। এই ঘটনার পরই পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্কুলটি ২০০২-’০৩ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। ঠিক মতো মেরামতি করা হত না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিভাবকেরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। স্কুল কর্তৃপক্ষকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন তাঁরা।