—প্রতীকী চিত্র।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই হস্টেলে থাকল কিশোরী, ঘুরে বেড়াল, অথচ কেউ নাকি জানতেও পারেননি তার সন্তানধারণের কথা। হাসপাতালে প্রসবের পর খবর জানাজানি হয়। চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। হস্টেল কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ড করেছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই কিশোরী নাবালিকা হওয়ায় পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
কর্নাটকের চিক্কবল্লপুরের ঘটনা। একটি শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের হস্টেলে থাকত ওই কিশোরী। অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন সে হস্টেলে ঢুকেছিল। এক বছরের মধ্যে সন্তানের জন্ম দিয়েছে কিশোরী। যা নিয়ে অস্বস্তিতে হস্টেল কর্তৃপক্ষও। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে, একই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রের সঙ্গে কিশোরীর সম্পর্ক ছিল। তবে ওই কিশোর স্কুলের পড়া শেষ করে বেঙ্গালুরুতে চলে গিয়েছে।
গত অগস্টে এক বার মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্যেও গিয়েছিল কিশোরী। দীর্ঘ দিন হস্টেলেই ছিল। তা সত্ত্বেও কী ভাবে তার সন্তানসম্ভাবনার কথা গোপন থাকল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হস্টেলকর্মীরা জানিয়েছেন, ওই কিশোরী হস্টেলে বেশি থাকত না। বাইরে থাকত। মাঝেমাঝে হস্টেলে আসত। প্রায়ই এক আত্মীয়ের বাড়িতেও যেত সে। তবে কী ভাবে সে অন্তঃসত্ত্বা হল, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। হস্টেলের ডিরেক্টর বলেন, ‘‘কিশোরী বেশ কিছু দিন ধরে হস্টেলে আসছিল না। কিছু দিন আগে এসে পেটব্যথা করছে বলে জানায়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার পর আমরা জানতে পারি ও অন্তঃসত্ত্বা।” পুলিশ বেঙ্গালুরুতে কিশোরীর ওই বন্ধুর সন্ধান করছে।