—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ক্লাসের মধ্যেই ক্ষেপিয়েছিল বন্ধু। সেই রাগে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াকে কম্পাস দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করল তারই সহপাঠীরা। মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের একটি বেসরকারি স্কুলের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এলেও গত শুক্রবারই এই কম্পাস-হামলার বিষয়টি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে শিশুকল্যান কমিটি (চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি)। স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত শিশুটির বাবা।
এই প্রসঙ্গে শিশুকল্যাণ সমিতির প্রধান পল্লবী পোড়েল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, জ্যামিতি বাক্স থেকে কম্পাস বার করে সেটি দিয়ে আক্রান্ত শিশুটিকে ১০৮ বার খোঁচানোর অভিযোগ উঠেছে অন্য তিন শিশুর বিরুদ্ধে। বিষয়টি ‘ভয়াবহ’ বলে ব্যাখ্যা করে পল্লবী বলেন, “আমরা পুলিশের কাছে তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। কারণ আমাদের জানতে হবে যে, কী কারণে ছোট ছোট শিশুরা এমন হিংসাত্মক আচরণ করল।” তিনি জানান যে, প্রয়োজনে শিশু এবং অভিভাবকদের কাউন্সেলিং করানো হবে। ভিডিয়ো গেমে আকৃষ্ট শিশুরা সেখান থেকেই হিংসার পাঠ নিচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আক্রান্ত শিশুটির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দুপুর ২টোর সময় বাড়ি ফিরেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। তার পর তার সঙ্গে কী হয়েছে, সব কিছু বাবা-মাকে বলে। শিশুটির বাবার কথায়, “এখনও বুঝতে পারছি না যে, আমার সন্তানের বয়সি ছেলেমেয়েরা কেন এমন আচরণ করল।” বেসরকারি স্কুলটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “বার বার চাওয়া সত্ত্বেও স্কুলের তরফে এখনও ক্লাসঘরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করা হয়নি।” এই প্রসঙ্গে পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বিবেক সিংহ চৌহান জানান, আক্রান্তের আঘাত কতটা গুরুতর, তা দেখতে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়েছে। অভিযুক্ত পড়ুয়াদের প্রত্যেকের বয়স দশ বছরের নীচে। তবে আইন মেনেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।