বৃষ্টি এবং কনকনে শীতে থমকাতে পারে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গের উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।
উত্তরকাশীর ভেঙে পড়া সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ আবারও থমকাতে পারে। তবে যান্ত্রিক কারণে নয়, প্রাকৃতিক কারণে। কারণ আবহাওয়া দফতর উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফে বলা হয়েছে, পর্বতে ঘেরা এই রাজ্যের চার হাজার মিটার উচ্চতায় তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের কোনও কোনও অংশে তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ৪ ডিগ্রিতে।
কনকনে শীত এবং বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে উদ্ধারকাজে যুক্ত সরকারি সংস্থা এনএইচআইডিসিএল-এর তরফে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানানো হয়েছে যে, প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী সব পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তা সত্ত্বেও আশঙ্কার মেঘ পুরোপুরি কাটছে না। কারণ আগেও একাধিক কারণে থমকে গিয়েছে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করার কাজ।
দু’দিক থেকে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উপর থেকে উল্লম্ব ভাবে খোঁড়া শুরু হয়েছে রবিবারই। যন্ত্রাংশ সরানোয় সোমবার সামনের দিক থেকে খোঁড়ার কাজও শুরু হয়ে যাবে। সামনের দিক থেকে যন্ত্রের মাধ্যমে অধিকাংশ রাস্তাই খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। বাকি কেবল ১০ থেকে ১২ মিটার। গাঁইতি-শাবল দিয়ে খুঁড়ে সেই রাস্তা অতিক্রম করে ফেলতে চান উদ্ধারকারীরা।
এ ছাড়া, উল্লম্ব ভাবে খুঁড়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য মোট ৮৭ মিটার পথ খোঁড়া দরকার। রবিবার প্রথম দিকে ২০ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে মোট ৩৭ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। বড় কোনও বিপদ না হলে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সেই পথ অতিক্রম করা সম্ভব বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যেই আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস উদ্ধারকারীদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।
গত শুক্রবার উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে বড় বাধা আসে। ২৫ টন ওজনের আমেরিকান যন্ত্রটি ধ্বংসস্তূপের ভিতরে লোহার কাঠামোয় আটকে যায়। যন্ত্রের অনেক অংশ ভেঙে চুরমার হয়ে যায় তাতে। কিছু কিছু যন্ত্রাংশ ভিতরেই আটকে ছিল। তা না সরানো পর্যন্ত সুড়ঙ্গের ওই অংশে আর হাতই দেওয়া যাচ্ছিল না। যন্ত্রটিও আর মেরামত করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ।