নর্দমা থেকে উদ্ধার করা হয় নাবালকের দেহ। প্রতীকী ছবি।
স্কুলের মধ্যে ধূমপান করছিল ২ সহপাঠী। তা দেখে ফেলেছিল ১২ বছরের এক ছাত্র। শুধু তা-ই নয়, ধূমপান করার কথা স্কুলের শিক্ষকদের জানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ওই ছাত্র। আর এই কারণে অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে খুনের অভিযোগ উঠল তার ২ সহপাঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দিল্লির বদরপুর এলাকার। শুক্রবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৭ এপ্রিল রাতে একটি নর্দমা থেকে এক নাবালকের দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নাবালকের পরনে স্কুলের পোশাক ছিল। উদ্ধার করা হয় তার স্কুলের ব্যাগ। যার মধ্যে বই-খাতা ছিল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় রক্তমাখা পাথর এবং রক্তমাখা তোয়ালেও। নাবালকের মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য ওই নাবালকের দেহ পাঠানো হয় দিল্লির এমসে।
পরে নাবালকের দেহ চিহ্নিত করে তার পরিবার। ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার স্কুল যাওয়ার পর আর ফেরেনি সে। এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। উদ্ধার হয় নাবালকের দেহ। নিকটবর্তী এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেই সূত্রে ২ নাবালককে পাকড়াও করা হয়। তাদের জেরা করেই খুনের রহস্যভেদ করেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের মধ্যে ২ ছাত্র ধূমপান করেছিল। তা দেখে ফেলেছিল ওই নাবালক। ধূমপানের কথা সে স্কুলের সবাইকে জানাবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়। এর পরই নাবালককে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে মারধর করে তার ওই ২ সহপাঠী। মারধরের জেরেই মৃত্যু হয়েছে নাবালকের।