Fake Doctor

আসল চিকিৎসকের সঙ্গে বিয়ে ভুয়ো ডাক্তারের! জাল সার্টিফিকেট ‘ফাঁস’ হতেই অভিযোগ দায়ের মহারাষ্ট্রে

এক মহিলা চিকিৎসক পরিবারে বিয়ে করার জন্য ডাক্তারির ভুয়ো সার্টিফিকেট বানান বলে অভিযোগ। পরে বিষয়টি জানাজানি হতে আদালতের দ্বারস্থ হন স্বামী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৭
Share:

ভুয়ো ডাক্তারের পরিচয় দিয়ে বিয়ের অভিযোগ মহারাষ্ট্রে। — প্রতীকী চিত্র।

ডাক্তারির ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে আসল চিকিৎসককে বিয়ে করেন এক মহিলা। সংসারও শুরু হয়। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় যখন স্বামী তাঁকে রোগী দেখার কাজে সাহায্য করতে বলেন। কিছুতেই রোগী দেখতে রাজি হননি তিনি। উল্টে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। পরে স্বামী জানতে পারেন, স্ত্রী আদৌ চিকিৎসক নন। অভিযোগ, বিয়ের আগে তাঁকে যে সার্টিফিকেট দেখানো হয়, তা ভুয়ো। আসলে ওই মহিলা উচ্চমাধ্যমিক পাশ! এ বার মহারাষ্ট্রের ওই মহিলার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করলেন চিকিৎসক স্বামী।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গাবাদের গান্ধীনগর এলাকার বাসিন্দা অভিযোগকারী চিকিৎসক। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এমডি ডিগ্রি রয়েছেন তাঁর। নিজস্ব একটি ক্লিনিকও রয়েছে। তাঁর সঙ্গে গত বছরে বিয়ে হয় অওরঙ্গাবাদেরই বাজাজনগর এলাকার বাসিন্দা এক মহিলার। বিয়ের জন্য পাঠানো বায়োডেটায় ওই মহিলাও নিজেকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বলে দাবি করেন বলে অভিযোগ। নয়ডার এক প্রতিষ্ঠান থেকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার স্নাতক ডিগ্রি (বিএএমএস) রয়েছে বলে জানান ওই তিনি। পাত্র ও পাত্রী উভয়েই আয়ুর্বেদ চিকিৎসক হবেন— এই ভেবে পাত্রের বাড়ির সকলে রাজি হয়ে যান বিয়েতে।

গত বছরের মার্চে বেশ জাঁকজমক করেই বিয়ে হয় তাঁদের। বিয়ের পরে শুরুর কয়েক মাস ভাল ভাবেই কাটে। এর পরে সম্পর্কে জটিলতা আসতে শুরু করে। ওই মহিলাকে তাঁর স্বামী অনুরোধ করেন ক্লিনিকে সাহায্য করার জন্য। ক্লিনিকে আসা মহিলা রোগীদের দেখার জন্য স্ত্রীকে পরামর্শ দেন স্বামী। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না মহিলা। অনেক অনুরোধ করেও স্ত্রীকে ক্লিনিকে বসাতে পারেননি স্বামী। এক এক বার এক এক ধরনের অজুহাত দিতেন বলে অভিযোগ। এমনকি, একটা পর্যায়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যান ওই মহিলা।

Advertisement

স্ত্রীর এমন আচরণে সন্দেহ জাগে স্বামীর মনে। স্ত্রীর বায়োডেটায় লেখা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে খোঁজখবর নেন। তাতেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয় ওই চিকিৎসকের কাছে। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রীর দেখানো আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের সার্টিফিকেটটি ভুয়ো। ওই কলেজে তাঁর স্ত্রী কোনও দিন ভর্তিই হননি বলে দাবি চিকিৎসকের। আরও খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী কেবল স্কুল গণ্ডিটুকুই পার করেছেন। প্রতারণার অভিযোগ তুলে স্থানীয় পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ওই চিকিৎসকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশকে মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement