Rahul Gandhi

‘মোদী’ পদবি অবমাননা মামলায় দোষী রাহুলের আবেদনের শুনানি শুরু হচ্ছে গুজরাত হাই কোর্টে

গত মঙ্গলবার রাহুলের আইনজীবী বিএম মঙ্গুকিয়া সুরাত দায়রা আদালতের সাজা কার্যকর করার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। তারই ভিত্তিতে এই শুনানি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৪০
Share:

‘মোদী’ পদবি অবমাননার মামলায় গুজরাত হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ফাইল চিত্র।

মোদী পদবি অবমাননার মামলায় সুরাতের দায়রা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল গান্ধীর আবেদনের শুনানি শুরু হল গুজরাত হাই কোর্টে। বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চে শনিবার সকালে শুরু হচ্ছে এই শুনানি।

Advertisement

গত মঙ্গলবার রাহুলের আইনজীবী বিএম মঙ্গুকিয়া সুরাত দায়রা আদালতের সাজা কার্যকর করার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। বিচারপতি গীতা গোপীর বেঞ্চে সেই আবেদন শুনানির জন্য নথিভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু বুধবার মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি গোপী। রাহুলের আইনজীবী পিএস চম্পানেরী আবেদনের দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতেই বিচারপতি গোপী বলেন, ‘‘আমার কাছে নয়।’’ মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে ফেরত পাঠানোর জন্য হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন তিনি।

এর পর মামলাটি গিয়েছে বিচারপতি হেমন্তের বেঞ্চে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। তবে ‘অপরাধমূলক মানহানি’ মামলায় দোষী রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে ৩০ দিন সময় দিয়েছিলেন বিচারক।

Advertisement

সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন।

এর পর রাহুল তাঁকে দোষী ঘোষণা করা এবং তাঁকে দেওয়া সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে (সেশনস কোর্ট) আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে সাজা কার্যকরের রায় বহাল রাখেন। ফলে সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি, রাহুলের জেলযাত্রার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে কংগ্রেস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement