বিশেষ সতর্কতা নিচ্ছে কলকাতা পুলিশও। ফাইল চিত্র।
প্রতি বছরের মতো এ বারেও বর্ষশেষের উন্মাদনায় মাতোয়ারা হবে সারা দেশ। স্বভাবতই বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়মভঙ্গের ঘটনাও ঘটবে। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকতে চাইছে দেশের বড় শহরগুলির পুলিশ-প্রশাসন। গত দু’বছর কোভিডের প্রকোপের কারণে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ বার সে সব কিছু নেই। তা ছাড়া এ বার বছরের শেষ দিন শনিবার হওয়ায়, আর নতুন বছরের প্রথম দিন রবিবার হওয়ায়, অনেক বেশি মানুষ আনন্দে শামিল হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই, নয়ডা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, প্রতিটি শহরেই ট্র্যাফিক আইন কঠোর ভাবে অনুসরণ করা হবে। প্রতি বছরই বর্ষশেষের রাতে ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগ ওঠে। মত্ত হয়ে গাড়ি চালানোরও অভিযোগ ওঠে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার যন্ত্রের সাহায্যে গাড়ি চালকদের শ্বাস পরীক্ষা করে দেখবে পুলিশ। এর দ্বারা বোঝা যাবে চালক মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন কি না।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ষশেষের রাতে উৎসবে মাতোয়ারা শহরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাস্তায় থাকবেন ৩ হাজার পুলিশ আধিকারিক। বিশেষ নজর রাখা হবে পার্ক স্ট্রিট, এসপ্ল্যানেড, শেক্সপিয়র সরণীর মতো জায়গাগুলিতে। এগারোটি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পার্ক স্ট্রিটের এবং শেক্সপীয়র সরণী এলাকায় বিশেষ ভাবে নজর রাখা হবে। নজরদারির আওতায় থাকবে শহরের পানশালাগুলিও। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় থাকছে দু’টি কুইক রেসপন্স টিম। নিরাপত্তার খাতিরে পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলকে ৬টি সেক্টরে ভেঙে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকছেন ডিসি পদমর্যাদার পুলিশকর্মী। রাতে নজরদারি বাড়াতে শহরের নানা প্রান্তে ৯৭টি নাকা চেকিং পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। শহরের গির্জা এবং অন্যান্য দ্রষ্টব্য স্থানগুলির আশপাশে কড়া নজরদারি চালানো হবে।
মুম্বইতে বর্ষশেষের রাতে মেয়েদের সুরক্ষা দিতে থাকবে নির্ভয়া টিম। ভিড় সামাল দিতে ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস থেকে কল্যাণ পর্যন্ত অতিরিক্ত লোকাল ট্রেন চালানো হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বেঙ্গালুরু শহরে ৮ হাজার ৫০০ জন পুলিশ আধিকারিক পথে থাকবেন। পুলিশের তরফে শহরবাসীকে জানানো হয়েছে, রাত ১টার পর প্রকাশ্যে কোনও উৎসব করা যাবে না। নয়ডায় সিসিটিভির মাধ্যমে গোটা শহরে নজরদারি চালাবে পুলিশ। নারী এবং শিশুদের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে দিল্লি লাগোয়া এই শহরে।