Assam Double Murder

অসমে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে দুই সৎভাইয়ের গলা কাটলেন ‘দাদা’! জঙ্গলে উদ্ধার দুই কিশোরের দেহ

গত শুক্রবার স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় দুই ভাই। শনিবার থানায় ছেলেদের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে নিহতদের পরিবার। এর পরেই দাদা নীরজকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৮
Share:
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে দুই নাবালক সৎভাইকে খুনের অভিযোগে তরুণকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত সপ্তাহে অসমের উদলগুড়ি জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে জঙ্গল থেকে ওই দুই কিশোরের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তরুণের নাম নীরজ শর্মা। শুক্রবার দুই ভাইকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন নীরজ। তার পর থেকেই আর খোঁজ মেলেনি দুই কিশোরের। পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তখনই বাড়ি থেকে দূরে এক নির্জন এলাকা থেকে দুই ভাইয়ের দেহ উদ্ধার হয়।

নিহত কিশোরদের পরিবার জানিয়েছে, গত শুক্রবার স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় দুই ভাই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শনিবার স্থানীয় থানায় ছেলেদের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন নিহতদের বাবা। এর পরেই নিহতদের দাদা নীরজকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। টানা জেরার মুখে দুই ভাইকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত।

Advertisement

জেরায় নীরজ জানিয়েছেন, তিনি তাঁর বাবার প্রথম পক্ষের ছেলে। কিন্তু ছোটবেলা থেকে অবহেলা পেয়েই বড় হয়েছেন। দুই ভাইকেই বেশি ভালবাসতেন বাবা! সেই রাগেই এমন ঘটিয়েছেন তিনি। শুক্রবার স্কুলে নিয়ে যাওয়ার নাম করে দুই ভাইকে বাইকে চাপিয়ে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যান দাদা নীরজ। তার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করেন দুই কিশোরকে। খুনের পর দেহ দু’টি সেখানেই ফেলে রেখে ফিরে আসেন। তবে ঘটনার নেপথ্যে আরও কোনও কারণ রয়েছে কি না, জানতে এখনও তদন্ত চলছে। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দোষীর শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন স্থানীয় মহিলাদের একাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement